বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সাংবাদিকদের প্রণোদনা দিন

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ডা. জাফরুল্লাহ আহবান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০২০, ১২:০৩ এএম

সাংবাদিকদের প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, প্রতিটি সাংবাদিককে অন্তত ২০ হাজার করে টাকা দিন, তাহলে তারা শক্তি পাবে, সত্য বলার জন্য বেঁচে থাকবে। আপনি নিজেও সত্য শোনার অভ্যাস করুন। তাহলে আপনি জয়যুক্ত হবেন। দেশ জয়যুক্ত হবে। আমরা আরও গভীরভাবে আপনাকে ভালবাসবো।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ তিনি একথা বলেন। এশিয়ান জার্নালিস্ট সোসাইটির উদ্যোগে সাংবাদিক গ্রেফফতার, নিপীড়ন, গণচাকুরিচ্যুতির প্রতিবাদ ও বেতন ভাতা পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের মহাসচিব জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ। বক্তব্য রাখেন, জাতীয় প্রেসসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বিএফইউজের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রোকন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্মসম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব শফিউল আলম দোলন, দপ্তর সম্পাদক আবু ইউসুফ, আইনজীবী নেতা এডভোকেট আবেদ রাজা প্রমুখ।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, রাজনীতিবিদরা আপনাকে ঘিরে রাখে নাই। আপনাকে ঘিরে রেখেছে তিন শ্রেণির গোয়েন্দা বাহিনী। তারা হলো আমাদের নিজেস্ব গোয়েন্দা বাহিনী, ভারতের র, অন্য দেশের মোসাদ, তাদের চারপাশে আছে আমলারা। আমলারা হচ্ছে সেই সকল প্রাণী আপনি যা শুনতে চান তারা তাই শোনায়। আপনি ডিসিদের সাথে যে ডিজিটাল কনফারেন্স করেন তাতে সেই কর্মকর্তারা প্রথম দুই মিনিট আপনার প্রশংসা করে পরে তারা কি করেছে সেটা বলে।

তিনি বলেন, দেশের এই পরিস্থিতির মধ্যে যারা আপনাকে সঠিক তথ্য দিতে চায় তারা হলেন সাংবাদিক । আমি বিশ্বাস করি আপনি দেশের ভাল চান। আর সেজন্য সাংবাদিকদের কথা বলতে দেন। কথা শোনার অভ্যাস করুন। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা কার্টুন করে কাদের, যাদেরকে ভালোবাসে তাদের। সুতরাং আপনারা এই ব্যঙ্গকে ভয় পান কেন? তবে আপনি কয়েকটি ভালো কাজের চেষ্টা করেছেন। তার মধ্যে একটি প্রণোদনা, তবে এই প্রণোদনা সত্যিকার অর্থে যারা বড়লোক তারাই পাচ্ছে। কৃষকের ধান কিনে নেবেন বলছেন। কিছুটা কিনে নেবেন। এই কিছুটা কেনায় দুর্নীতি প্রশ্রয় দেয়া হয়। অনুগ্রহ করে প্রতিটি কৃষকের কাছ থেকেই আপনি ধান কিনে নেবেন এবং ২৬ টাকার জায়গায় দুই টাকা বেশি দিয়ে কিনবেন।

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের দু’কোটি পরিবার এক কোটি একেবারে নিরন্ন আর এক কোটি অর্ধ অনাহারে থাকে তাদের সবাইকে মাসিক রেশন দেন। সাপ্তাহিক নয়, কারণ সাপ্তাহিক দিলে তাদের বারবার রাস্তায় আসতে হবে তাই মাসিক দিতে হবে। মনে রাখবেন বাঘ যখন বনে খাবার না পায় তখন লোকালয়ের আসে। মানুষ ঘর থেকে বের হয়েছে আপনার নিয়ম ভঙ্গ করেছে একমাত্র পেটের ক্ষুধার জ্বালায় আর এই দুই কোটি মানুষের খাবার দেওয়ার সামর্থ্য তো আমাদের আছে প্রধানমন্ত্রী বলেছে ১৬ লক্ষ্য টন চাউল মজুদ আছে। তাহলে তাদের সাহায্য করতে প্রবলেম কি? এসময় তিনি সাংবাদিকদের জন্য ২০০ প্যাকেট ত্রাণের সাহায্য ঘোষণা দেন।

সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকার অভিশপ্ত, ব্যর্থ ও জালিম সরকার। এই সরকার আমরা চাই না। এ সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য একের পর এক গনমাধ্যমের উপর দলন-নিপীরন চালাচ্ছে। যেসব গনমাধ্যম ও সাংবাদিকরা সরকারের সমালোচনা করে তাদের উপর সরকার নির্বিচারে অত্যাচার চালাচ্ছে। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিরোদ্ধে করা সকল মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি এবং ডিজিটার নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ১১ মে, ২০২০, ১০:৩৯ পিএম says : 0
গণস্বাস্থ কেন্দ্রের পরিচালক জাফ্রুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য শুনলে আমার বার বার মনে পরে ওনার জীবনের শুরুর দিকের কথা। সেসময়ে মাত্র দেশ স্বাধীন হয়েছে আর তিনি সেই দেশকে গড়ার জন্যে আত্মনিয়োগ করেছিলেন আর আমার মত শত শত মুক্তিযোদ্ধারা তাকে শ্রদ্ধা করতেন। এরপর তিনি তাঁর কাজে এতই ব্যাস্ত ছিলেন যে, তিনি দেশের রাজনীতির উপর সেসময়ে কোন একটা বক্তব্য রাখতেন না ফলে আমরা তাঁর ভিতরের কথা জানতে পারিনি। ১৯৮৮ সালে আমি বিদেশ চলে আসার পর পত্রিকায় ওনাকে নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা শুনতে থাকি আর আশ্চার্য হই যখন দেখি উনি পাকিদের পক্ষের দল বিএনপি-জামাতের হয়ে কথা বলেন। আমার মনে ওনার জন্যে যে শ্রদ্ধাবোধ ছিল এবং উনি দেশের জন্যে যতটুকুই করেছেন এখন সবই মনে হচ্ছে এসব পাকিদের কথায়ই তিনি করেছেন। যেমন আমাদের সমাজে জামাত জনগণের ব্যাক্তিগত চাহিদা মিটিয়ে তাদেরকে পকেট করে নিজেদের দল ভারী করেছে ঠিক তেমনিভাবেই ডঃ জাফরুল্লাহ গণস্বাস্থের মাধ্যমে জনগণের মন জয় করে তাদেরকে পাকিপন্থী করার একটা প্রচেষ্টায় ছিল এটাই আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে ফুটে উঠেছে। আল্লাহ্‌র কাছে আমি প্রার্থনা করছি আল্লাহ্‌ যেন আমাকে সহ সবাইকে দুই মুখো শাপ মানে অন্তরে একটা বাহিরে একটা এধরনের লোকদেরকে চিনার ক্ষমতা প্রদান করেন। আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন