ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ধুলিয়াপাড়া গ্রামে লাল্টু (৪৫) ও অভি (২৬) নামে দুইজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এলাকায় সামাজিক আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে স্থানীয় আব্দুল কুদ্দুস খানের সমর্থকরা এই হত্যাকান্ড ঘটায়। নিহত লাল্টু ধুলিয়াপাড়া গ্রামের মনজের মন্ডলের ছেলে। অন্যদিকে অভি একই গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। এই নিয়ে শৈলকুপায় ১২দিনে ৪ জন খুন হয়েছে। শৈলকুপার ওসি বজলুর রহমান জানান, ধুলিয়াপাড়া ও পাথরবাড়িয়া গ্রামে আওয়ামীলীগের দুইটি সামাজিক দল রয়েছে। মকবুল মহুরী ও আব্দুল কুদ্দুস খান এ সব গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কাঁচেরকোল ইউনিয়নের ধুলিয়াপাড়া গ্রামে গত ৭ মে সকালে আইয়ুব মুসল্লী নামে এক ব্যক্তির উপর হামলা করে কুদ্দুস খাঁ গ্রুপ। একই দিন বিকালে মকবুল হোসেন ও তার ভাতিজা রাকিবুল ইসলাম পলাশের উপর পাল্টা হামলা করে আব্দুর রশিদ খাঁ গ্রুপের সমর্থকেরা। প্রতিশোধ নিতে রোববার সকালে অবেদ খাঁ নামে এক ব্যক্তির উপর হামলা চালানো হয়। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার দুপুরে আব্দুর রশিদ খাঁ গ্রুপের লোকজন মকবুল মন্ডলের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে অভি (২৫), লাল্টু (৪৫) ও মনজের মন্ডল (৬০) গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে দুপুরে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হলে দুপুর ১টার দিকে লাল্টু ও অভি মৃত্যুবরণ করেন। মনজের মন্ডলকে মুমুর্ষ অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত অভির চাচা শফিউদ্দীন অভিযোগ করেন, আমার ভাই লাল্টু ও ভাতিজা অভি বাড়ির সামনে বসে ছিলেন। এ সময় পাথরবাড়িয়া গ্রাম থেকে এসে তাদের ব্যাপক মারধর ও কুপিয়ে আহত করে। কুপিয়ে জখম করার ফলে তারা মৃত্যুবরণ করেন। এলাকাবাসির অভিযোগ রোববার আবেদ আলীকে মারধরের পর পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বরং আপোষ মিমাংশা করে দেয়। ফলে সোমবার দুইটি হত্যাকান্ড ঘটে যায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে ১এলাকায় চরম উত্তজেনা চলায় অতরিক্তি পুলশি মোতায়নে করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন