শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পাসপোর্টের অপেক্ষায় আড়াই লাখ গ্রাহক

সাখাওয়াত হোসেন : | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরে করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে। গত সাত সপ্তাহে সারাদেশের বিভিন্ন পাসপোর্ট অফিসে কমপক্ষে আড়াই লাখ গ্রাহকের আবেদন জমা পড়েছে। এরমধ্যে রয়েছে প্রবাসীদের পাসপোর্টের আবেদনও। অনলাইনে আবেদন পড়েছে ৩০ ভাগ। আবার অনেক গ্রাহক আবেদন করেছেন বহুদিন আগে। কিন্তু তারা যথা সময়ে পাসপোর্ট হাতে পাননি। এ নিয়ে সাধারণ গ্রাহকের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
রাজধানীর সবুজবাগের বাসিন্দা ব্যবসায়ী সবুজ মিয়া দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, তিনি এক মাস আগে পাসপোর্ট নবায়ন করার জন্য কাগজপত্র দাখিল করেন। কিন্তু এখন পাসপোর্ট অফিস থেকে বলা হচ্ছে পাসপোর্ট সরবরাহ করতে আরো অনেক সময় লাগবে। চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া খুব জরুরি ছিল বলেই আবেদন করেন।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ ও নির্দেশনা দেয়া হয়। এ অবস্থায় গ্রাহকের পাসপোর্ট হাতে পাওয়া ঝুলে আছে। গত মার্চ মাসে সরকারি ছুটির কারনে বন্ধ হয়ে যায় পাসপোর্ট অফিস। এ সময়ে বন্ধ করে দেয়া হয় অনলাইনে আবেদন করাও। যে সব পাসপোর্ট করোনা সঙ্কটের আগেই গ্রাহকদের দেয়ার কথা ছিল অফিস বন্ধ হওয়াতে তা আর দেয়া হয়নি। এতে করে নতুন ও আগের করা আবেদনের প্রায় আড়াই লাখ পাসপোর্ট আটকা পড়েছে। পাসপোর্ট গ্রাহকদের হাতে তুলে দেয়া ও নতুন পাসপোর্ট তৈরিতে এমন জট এর আগে কখনো হয়নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আবেদনকৃত পাসপোর্ট গ্রাহকের হাতে দেয়া সম্ভব নয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনা কাটিয়ে উঠার পর দ্রুত এ জট কমানোর চেষ্টা করা হবে। বর্তমানে দিনে ২০ হাজার পাসপোর্ট প্রিন্ট দেয়া যায়। সঙ্কট কাটাতে প্রিন্ট মেশিনের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রিন্ট করে কুরিয়ার বা ডাক বিভাগের মাধ্যমে পাঠানো সম্ভব নয়। এই মুহুর্তে আমরা জরুরি পাসপোর্টগুলো প্রিন্ট করে দিচ্ছি। তবে সেটা অতি জরুরি হলেই একমাত্র দিচ্ছি। দেশের বাইরের মিশনগুলোতেও আমরা কিছু পাসপোর্ট পাঠিয়েছি। কাজ তো সব জায়গায়ই বন্ধ। কিন্তু কিছুটা চালিয়ে রাখতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন ২০ হাজার পাসপোর্ট প্রিন্ট করা সম্ভব। সব কিছু স্বাভাবিক হলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সারাদেশের এই পাসপোর্ট প্রিন্ট করা সম্ভব হবে। আমাদের কর্মীরা সবাই এখন অফিস করছে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন