হালদা নদীতে ডলফিন রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ই-মেইলের মাধ্যমে জানাতে বলা হয়েছে। পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক চট্টগ্রাম কে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ উপরোক্ত আদেশ দেন। এর আগে রিটের ওপর ভার্চুয়াল শুনানি গ্রহণ করেন উক্ত আদালত। রিটের পক্ষে ভার্চুয়াল শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়্যুম লিটন। ভার্চুয়াল আদালত চালুর পর এটিই হচ্ছে রিটের প্রথম আদেশ।
এর আগে গত সোমবার চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ডলফিন হত্যা বন্ধে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল চেয়ে রিট ফাইন করেন আব্দুল কাইয়্যুম লিটন। রিটে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবং চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রতিপক্ষ করা হয়েছে।
আবেদনের সঙ্গে হালদা নদীতে ডলফিন হত্যা বিষয়ক বেশ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়। বলা হয়, লকডাউন আর শাটডাউন পৃথিবীর নানা প্রান্তের বন্যপ্রাণী ও নদী-সমুদ্রের স্তন্যপায়ী প্রাণীদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এলেও মানুষের নিষ্ঠুরতা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না গাঙ্গেয় এ ডলফিন। অবৈধ জালের শিকার হচ্ছে মা মাছও।
গত ৯ মে হালদা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ইঞ্জিন বোটের আঘাতে রক্তাক্ত ১৩ কেজি ওজনের একটি মা মাছ। গাঙ্গেয় এ ডলফিন (গাঙ্গেটিকা প্লাটানিস্টা) দক্ষিণ এশিয়ার নদীগুলোতে একটি বিপন্ন প্রজাতি। ডলফিনের চর্বি থেকে তৈরি তেল নারীদের রোগমুক্তি ঘটে এমন কুসংস্কারের বশে এ ডলফিনগুলোকে হত্যা করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন