সাতক্ষীরায় বান্ধবীসহ মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় ডিবি পুলিশের এএসআই হাসান গ্রেফতার হয়েছেন। গত সোমবার দিবাগত রাতে খুলনা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসে পুলিশ। তিনি এখন সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে জিঙ্গাসাবাদে রয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার বাদী বাবুলিয়া গ্রামের রনজিত কুমার আমিনের ছেলে গোপাল চন্দ্র আমিন (৪০) এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ৭ মে বেলা একটার দিকে বান্ধবী তামান্নাকে নিয়ে বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হন। তারা শহরের অদূরে বাঁকাল ইকোপার্কের সামনে পৌঁছালে ডিবি পুলিশের লোক পরিচয়ে তাদের পথরোধ করা হয়। এক পর্যায়ে হাতকড়া পরিয়ে মারপিট শুরু করে তারা। একই সাথে আমার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা আমাকে তাদের কাছে থাকা মোটরসাইকেলে এবং আমার বান্ধবীকে আমার মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকে। বেলা ২ টা ২০ মিনিটের দিকে শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে নিয়ে এসে হ্যান্ডকাপ খুলে দিয়ে টাকা যোগাড় করার জন্য ফোন করতে বলে। আমি টাকা যোগাড় করতে ব্যর্থ হলে তারা আমার কানে থাপ্পড় মেরে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
এরপর আমাকে তাদের পালসার মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে সদর থানার সামনে আসলে আমি গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে দৌড়ে থানার মধ্যে ঢুকে পড়ি। এসময় পুলিশের দারোগা পরিচয়দানকারী ওই ব্যক্তি থানায় না ঢুকে দ্রæত মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি থানায় উপস্থিত সকল পুলিশকে জানানো হয়। এদিকে, দারোগা পরিচয়দানকারি অপর ব্যক্তি আমার বাজাজ মোটরসাইকেলে বান্ধবী তামান্নাকে তুলে নিয়ে যায় এবং সদর উপজেলার সামনে তাকে নামিয়ে দেয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, সোমবার রাতে খুলনা থেকে হাসানকে গ্রেফতার করে সাতক্ষীরায় আনা হয়। তাকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে তোলা হবে। এএসআই হাসানুর রহমান হাসান বর্তমানে খুলনায় কর্মরত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন