শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ডিএনসিসি’র ৬টি মোবাইল কোর্টে সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০২০, ১০:১২ পিএম

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন এলাকায় ৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় বিভিন্ন অপরাধে মোট সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় কারা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন আবাসিক বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিককে সতর্ক করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার ডিএনসিসি’র আওতাধিন বিভিন্ন এলাকায় ডিএনসিসি পরিচালিত মোবাইল কোর্টগুলো হচ্ছে-ডিএনসিসি’র অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়নের নেতৃত্বে উত্তরায়; অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম শফিউল আজম মিরপুর এলাকায়; অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসান বারিধারা আবাসিক এলাকায়; অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজ মিরপুরে; অঞ্চল-৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন উত্তরা ১২নং সেক্টরে; ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হামিদ মিয়া অঞ্চল-১০ এর ৩৮ নং ওয়ার্ডের বাড্ডা, সোনাকাটরা, সেকান্দারবাগ ও মধ্যবাড্ডা এলাকায় পরিচালনা করেন।
গতকাল বুধবার বিকালে ডিএনসিসি’র জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জাননো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ডিএনসিসি’র অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন উত্তরা ১ নং ওয়ার্ডের সেক্টর-৪ ও ৬ এ প্রায় ১৫ টি নির্মানাধীন ভবন, বাড়ি ও অফিস পরিদর্শন করেন। পরদর্শনকালে ৩টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে সেসব বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয় এবং ২টি মামলায় ২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একই সাথে ৩ দিনের মধ্যে উক্ত স্থানের জমা পানি অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম শফিউল আজম মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময়ে তিনি ১৩টি ভবন পরিদর্শন করেন, তবে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ না পাওয়ায় কাউকে জরিমানা করা হয়নি।
অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসান বারিধারা আবাসিক এলাকায় মোট ১৪ টি স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এসময়ে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়ায় ১টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক ও ৩টি প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ১টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজ মিরপুরে কাফরুল, সেনপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময়ে ১২ টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোন জরিমানা করা হয়নি। তবে এলাকাবাসীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও জমা পানি ফেলে দেয়ার বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে।
অঞ্চল-৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন উত্তরা ১২ নং সেক্টরে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময়ে তিনি প্রায় ৬০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে নির্মানাধীন ৩টি ভবনে জমা পানি দেখতে পান, তবে কোন মশার লার্ভা পাওয়া না যাওয়ায কোন জরিমানা করা হয়নি। দ্রুত জমা পানি অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অঞ্চল-১০ এর ৩৮ নং ওয়র্ডের বাড্ডা, সোনাকাটরা, সেকান্দারবাগ ও মধ্যবাড্ডা এলাকায় বেশকিছু বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হামিদ মিয়া। এসময়ে বেশ কয়েকটি নির্মানাধীন ভবনে ময়লা আবর্জনা ও এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় সেগুলো দ্রুত অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়। এসময়ে জনসাধারণকে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব ও জমা পানি ফেলে দেয়ার বিষয়ে সচেতন করা হয়, তবে কাউকে জরিমানা করা হয়নি।
এছাড়া অভিযান চলাকালে সকল এলাকাতেই এলাকাবাসীকে এডিস মশার বিস্তার রোধে সচেতন করা হয়। অভিযান চলাকালে সাংবাদিক, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ডিএনসিসির মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন