বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

অনন্ত জলিলের আবেগঘন ভিডিও বার্তা

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০২০, ৩:০৪ পিএম

"একটা গার্টমেন্টস তৈরী থেকে শুরু করে পরিচালনা করতে কতটা শ্রম, অর্থলগ্নি এবং সমস্ত সম্পত্তি ব্যাংকে বন্ধক (মটগেজ) রাখতে হয় তা একমাত্র একজন মালিকই বোঝেন।"

দেশের তৈরী পোশাকখাত নিয়ে ঢাকায় সিনেমার নায়ক, প্রযোজক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল এক ভিডিওতে এসব আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন। সম্প্রতি ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

সেখানে অনন্ত জলিলকে বলতে দেখা যায়, একজন মালিক যখন ব্যবসা শুরু করেন, তখন তাকে ৩০ কেজি করে ৬০ কেজ ওজনের ব্যাগভর্তি স্যাম্পল নিয়ে একাই ভ্রমন করেন। বায়ারদের দরজায় দরজায় গিয়ে তার পণ্যের নমুনা দেখাতে হয়। কারখানা ও নিজের দেশ সম্পর্কে ভালো ভালো কথা বলে বায়ারের মন জয় করতে হয়। প্রাণপণ চেষ্টায় এক বছরের মাথায় বায়ার রাজি হন। আর এই এক বছর মালিককে কারখানা চালাতে হয়।

ভিডিওতে ব্যবসায়ী অনন্ত বলেন, এই সময়ের মধ্যে সমস্ত পুঁজি, সম্পত্তি এমনি নিজের স্তীর গহনা বিক্রি করে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে হয়।

তিনি জানান, মূলত আমাদের দেশে গার্মেন্টস শিল্পের দুর্দিন দেখা দেয় রানা প্লাজা ধসের পর থেকে। এটি ছিলো একটি শপিংমল, যার কয়েকটি তলায় কারখানা ছিলো। এই ভবনটি ধসের কারণে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। যার ফলে সারা বিশ্বের মানুষরা আমাদের গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করা শুরু করে। চরম ইমেজ সংকট তৈরী হয়।

পরবর্তীতে আমাদের দেশে আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান বায়ারদের সংগঠন অ্যাকার্ড অ্যান্ড অ্যালায়েন্সের আবির্ভাব ঘটে। সংগঠন দুটি বিল্ডিং সেফটি, ফায়ার সেফটি ও ইলেকট্রিক সেফটি অডিট পরিচালনার করার ফলশ্রুতিতে ফ্যাক্টরিগুলো ব্যাপক সংস্কারের কাজে হাত দেয়। এ কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করতে গিয়ে মালিকদের কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয়।

অনেক মালিক সংস্কার করতে গিয়ে এবং অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সর বিতর্কিত কিছু সিদ্ধান্তের কারণে আজ সর্বস্বান্ত। এক সময়ের মালিক আজ জীবিকার তাগিদে অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।

আমার একটি পাঁচতলা বিল্ডিং সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলি, দু’টি ৮ তলা বিল্ডিংয়ের একটি করে ফ্লোর ভেঙে ফেলি। এমনকি একটি দোতলা বিল্ডিংয়ের একটি ফ্লোর ভেঙে ফেলি, সব মিলিয়ে ৪২ হাজার বর্গফুট বিল্ডিং ভাঙা হয়। এতে ১৮ কোটি টাকা লাগে।

এই সময় মনে হয়েছিল সমস্ত গার্মেন্টস ব্যবসা বন্ধ করে নিয়মিত কমার্শিয়াল সিনেমা তৈরী করি। কারণ এই দেড় বছরের সময়ে প্রতিটা মিনিট কীভাবে কেটেছে তা সহ্য করার ক্ষমতা ছিল না। সেই মুহূর্তগুলো বলেও আপনাদের বোঝাতে পারবো না।

এসময় পোশাখাতের আরো নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন দেশের অন্যতম এ ব্যবসায়ী। প্রায় ১৬ মিনিটের এই আবেগঘন বার্তাটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশ পেয়েছে।

দেখে নিন অনন্তর আবেগঘন সেই বার্তাটি

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
সব মিলিয়ে অনন্ত জলিল সাহেব একজন ভাল মনের মানুষ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন