বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আগেই জানিয়েছিল করোনাভাইরাস ঠিক কিভাবে মানুষের দেহে প্রবেশ করেছে। আর তা না জানা পর্যন্ত এর ভ্যাকসিন তৈরি সম্ভব না। কিন্তু এখনও কোনও এক সিদ্ধান্তে উপস্থিত হতে পারলেন না গবেষকরা।
ডবিøউএইচও জানিয়েছে, বাদুড় থেকেই মানুষের দেহে প্রবেশ করেছে করোনা। অনেকে আবার বলছেন প্যাঙ্গোলিনের সঙ্গে এই ভাইরাসের অনেকটা মিল আছে। তবে নতুন সমীক্ষায় আবার দাবি করা হয়েছে বাদুড় থেকে মানুষের শরীরে করোনার ভাইরাস ছড়ানোর পিছনে প্যাঙ্গোলিনের ভ‚মিকা নেই।
চীনা গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই প্রাণী প্রাকৃতিক ভাবেই বিভিন্ন করোনা ভাইরাসের হোস্ট। তবে প্যাঙ্গোলিন করোনার সরাসরি উৎস বলে মনে হয় না।
বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস মানুষের দেহে এসেছে বাদুড় থেকেই। তবে সম্ভবত এটি অন্য কোনও মধ্যস্থতাকারী প্রাণীর মাধ্যমে মানব দেহে ছড়িয়েছে। এই মধ্যস্থকারী প্রাণীকে খুঁজে বের করাই এখন গবেষকদের মূল টার্গেট।
কোথা থেকে এই ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করল, কীভাবে তা ঘটল এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল প্যাঙ্গোলিন থেকে ছড়িয়ে থাকতে পারে এই ভাইরাস। চীনে বিক্রি করা হয় এই প্যাঙ্গোলিন। একে খাবার হিসেবেও খাওয়া হয় আবার ওষুধ তৈরির কাজে লাগে।
তবে চীনা বিজ্ঞানীরা প্যাঙ্গোলিনকে এই ভাইরাসের বাহক না মানলেও এখনই তা সর্বজন গ্রাহ্য হচ্ছে না। চীন ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় প্যাঙ্গোলিরে উপর বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। প্যাঙ্গোলিন থেকে কিভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চীন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ভারত ও আফ্রিকার কিছু বিশেষ অংশের জঙ্গলে মেলে এই প্যাঙ্গোলিন। তবে এখন এরা প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে। বিদেশে এর আঁশ ও মাংসের চাহিদা থাকায় নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে এই প্রাণীকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন