বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

উচ্চতর তদন্ত কমিটি চেয়ে রিট

ভ্রাম্যমাণ আদালতে দন্ডাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২০, ১২:০৪ এএম

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দন্ডাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভ্ইুয়া রিটটি ফাইল করেন। রিটে বরিশাল বারের সদস্য অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রিপনকে দন্ডাদেশ দেয়ার ঘটনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উচ্চতর তদন্ত চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে তাকে, তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে উচ্চ বিচারিক তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা প্রদান কেন অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল নিশি চাওয়া হয়েছে। রিটে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বরিশাল জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুদাকে বিবাদী করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত : সম্প্র্রতি বরিশালে টিসিবির এক ডিলার ট্রাকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করছিলেন। এ ক্ষেত্রে অনিয়ম দেখে প্রতিবাদ করেন অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রিপন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই স্থলে কর্মরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুদা তখন রবিউল ইসলাম রিপনের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনেন। তাকে ৭ দিনের কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ১৫ মে, ২০২০, ৮:২৭ এএম says : 0
আমি এই খবরটা আগেও পড়েছি কিন্তু এটা নিয়ে মাথা ঘামাইনি কারন উকিলদের নিয়ে আমি অনেক লিখেছি কিন্তু দেখেছি এরা আইনের অনেক অনেক উর্ধে থাকেন এবং সবসময়ই এনাদের সাথে সমঝটা করা হয়। দেশের আইনজীবীরা নিজেদেরকে আইনের উর্ধে মনে করেন। ওনারা ভাবেন আইন ওনাদেরকে কোন ভাবেই আটকাতে পারবেনা আইনকে ওনারা পকেটে রাখেন। আমি কেন সমাজের সবাই জানে উকিল তাঁর মোয়াক্কেলকে মিথ্যা কথা শেখায় এবং মামলায় জেতার জন্যে মিথ্যা শ্যাক্ষির ব্যবস্থা করে (এসব বিচারকেরাও জানেন তারপরও বিচারকদের করার কিছু থাকেনা) এসব করে উকিল সাহেবরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের পাকেট ভরে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে হয়েছে উল্টো, এর উপর আমার একটা প্রবাদ মনে পরে “আল্লাহ্‌র মাইর দুনিয়ার বাইর” আবার অনেকে বলেন “চোরের দশদিন গৃহস্তের একদিন” এখন দেখা যাক প্রকৃত পক্ষে বিষয়টা কতটুকু গড়ায়। আমি আল্লাহ্‌র দরবারে মোনাজাত করছি আল্লাহ্‌ যেন সত্যের জয় এখানে দেন। আমি জানি উকিল বাবুরা এখন তাদের ঝুলিতে মিথ্যার যত বাহার আছে সবই প্রয়োগ করবে এটাই সত্য কিন্তু আল্লাহ্‌ যেন তাদের মিথ্যাকে জয় যুক্ত করতে না দেন এটাই আমাদের সবার আল্লাহ্‌র কাছে প্রার্থনা করা দরকার। তাহলে দেশের উকেলেরা সঠিক পথে আসতে বাধ্য হবে, এতে করে হয়ত আমাদের দেশে আইনের শাসন আসতে পারে। আমারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও আবেদন করছি, তিনি যেন এই বিষয়টার উপর নজর দেন যাতে করে আইনের বাহিরে অ্যাডভোকেট সাহেবরা এবার বাহাদুরী করে রেহাই না পায়। এখানে আরো একটা বিষয় আমাদের দেখতে হবে সেটা হচ্ছে বিচারক সঠিক নাকি আইন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলেন মানে উকিল সাহেবা তাদের মিথ্যাকেই জয়ী করাতে বিচারকদেরকে কুবকাত করেন। এখন আমি মনেকরি বিচারকরাও আইন পড়েছেন তারাও ভাল আইন জানেন কাজেই এখন তাদের রায়কে যেন এসব উকিলেরা কোন ভাবেই মিথ্যার জ্বালে ফেলে কুবকাত করতে না পারে। এদেকে আমার অনুরোধ বিচারকরা সবাই মিলে এই বিষয়টাকে ভাল ভাবে নিবেন এবং তাদেরই একজন যিনি বিচার করেছেন অবশ্যই সঠিক বিচার করেছেন এবং সঠিক রায় দিয়েছেন এটাই জনগণের বিশ্বাস। কাজেই আমাদের সবিনয় অনুরোধ আমরা যে প্রবাদ আমাদের দাদার আমল থেকে শুনে আসছি সেটা যেন হয়। ওনারা বিচারের রায় নিয়ে বলতেন “হাকিম লড়েতো হুকুম লড়েনা”। প্রবাদটা দেখেছি সবসময় সত্য হয়, এবারও যাতে এই প্রবাদটা সত্য হয় এটাই আল্লাহ্‌র দরবারে প্রার্থনা। আল্লাহ্‌ আমাদের সহায় হউন। আমিন
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন