শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মালদ্বীপ-কুয়েত থেকে ফিরছে ৮ শতাধিক কর্মী

৫ হাজার ২শ’ অবৈধ কর্মী ফেরার অপেক্ষায়

শামসুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২০, ২:০৮ পিএম

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী দু’দিনে মালদ্বীপ ও কুয়েত থেকে ৮শতাধিক প্রবাসী কর্মী দেশে ফিরছে। কুয়েতের চারটি অস্থায়ী ক্যাম্পে ও মালদ্বীপে আরো ৫ হাজার ২শতাধিক বাংলাদেশি কর্মী দেশে ফেরার জন্য প্রহর গুনছে। কুয়েত সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় দেশটির ক্যাম্পগুলোতে অবৈধ প্রবাসী কর্মীরা দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছে। কুয়েত সরকারের বিশেষ বিমানেই তারা দেশে ফিরছেন।

মালদ্বীপ সরকার দেশটিতে কর্মহীন বাংলাদেশিদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চাপ দিচ্ছে। মহামারীর সঙ্কটকালে দেশটিতে এসব প্রবাসী কর্মীরা চরম খাদ্য সঙ্কটের মুখে পড়েছে। আজ শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট যোগে মালদ্বীপ থেকে ২২০ জন কর্মী হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছবে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তিনটি বাস যোগে এসব কর্মীদের বিভিন্ন জেলায় পোছে দেয়া হবে। বিমানবন্দর কল্যাণ ডেস্কের এডি ফখরুল আলম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত সপ্তাহে চারটি ফ্লাইট যোগে কুয়েত থেকে ৬শ’ অবৈধ কর্মী দেশে ফেরেছে। আগামীকাল শনিবার ও রোববার কুয়েত থেকে আরো চারটি ফ্লাইট যোগে ৬শ’ অবৈধ কর্মী দেশে পৌঁছবে। দেশটি ক্যাম্পে অপেক্ষমান বাকি বাংলাদেশি কর্মীদের শিগগিরই ফেরত পাঠাবে কুয়েত সরকার।

মহামারী সঙ্কটকালে মালদ্বীপে ঘরবন্দি প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এর মধ্যে মালদ্বীপ থেকে বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় ফিরে আসতে দেড় সহরাধিক প্রবাসী কর্মী নিবন্ধন করেছে। করোনার কারণে নিবন্ধনকৃত এসব কর্মীকে পর্যায়ক্রমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এদের মধ্যে থেকে আজ ২২০জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে মালদ্বীপ থেকে প্রবাসী কর্মীরা ২৫০ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে এতথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, মালদ্বীপে লকডাউনের কারণে অফিস-আদালত শিল্প-কারখানা হোটেল-রেস্টুরেন্ট সবকিছুই বন্ধ থাকায় প্রবাসী কর্মীরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা খাদ্যের সঙ্কটসহ নানা সমস্যায় জীবন-যাপন করছেন। বাংলাদেশ সরকার থেকে ওইসব প্রবাসীদের জন্য খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন প্রয়োজনের জিনিস পাঠানো হয়। এছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের মধ্যে যারা অবৈধ রোজ বা সপ্তাহের ভিত্তিতে কাজ করতেন এবং যারা বিভিন্ন অপরাধে জেলে রয়েছে তাদের ফিরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ।

এদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ইতোমধ্যেই প্রায় চার হাজার ব্যক্তিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং আরও প্রবাসীকে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি তালিকা দিয়েছে সউদী আরব।
তিনি বলেন, সউদী আরবসহ তেল নির্ভর অর্থনীতির দেশগুলোতে কর্মসংস্থান পরিস্থিতি আগের মতো ভবিষ্যতে আর নাও থাকতে পারে। তাই কর্মীদের বিকল্প শ্রমবাজারে পাঠানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করা হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেসব দেশে কর্মী আছে আমরা তাদের বলেছি যে এসব লোকেরা যেন চাকরি না হারায় কিংবা খাদ্য ও চিকিৎসার সঙ্কটে যেন না পড়েন। আর প্রবাসীদের বলেছি তারা যেন যেখানে আছেন সেখানেই থাকেন। তবে এটা সত্য যে মধ্যপ্রাচ্যে তেলের দাম পড়ে গেছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন