শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বেনাপোলে গরুর পঁচা গোশত জব্দ

বেনাপোল অফিস : | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

বেনাপোল বাজারে রুগ্ন গরুর পঁচা গোশত বিক্রিকালে প্রায় ১ মণ জব্দ করেছে পোর্ট থানা পুলিশ। মিজান কসাইদের একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে গভীর রাতে মরা ও রুগ্ন গরু জবাই করে বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করে আসছিল। গতকাল সকালে পঁচা-বাসি ও রুগ্ন গরুর গোশত বিক্রিকালে জনতা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ, পৌর সভা ও বাজার কমিটি এসে পঁচা গোশত উদ্ধার করে। পরে কেরোসিন মিশিয়ে পঁচা গোশত মাটি চাপা দিলেও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এসব পঁচা-বাসি ও রুগ্ন গরুর গোশত খেয়ে অনেকেই পেটের পীড়াসহ নানা ধরণের জটিল রোগে ভুগছে। তবে, বারবার এ সিন্ডিকেট প্রধান চোরাই গরু নিয়ে আটকসহ রুগ্ন ও গরুর পঁচা গোশত বিক্রি করলেও আইনি ব্যবস্থা তাকে স্পর্শ করতে পারেনি।
বেনাপোল পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রাশিদা বেগম দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল বাজারের মিজান কসাইসহ অন্য কসাইদের রুগ্ন ও মরা গরুর গোশত বিক্রিতে বাধা দেয়ায় তাকে হুমকি ধামকী দিয়ে আ সছিল তারা। পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের চোখ ফাঁকি দিতে গভীর রাতে পৌরসভাকে না জানিয়েই তারা মরা ও রুগ্ন গরু জবাই করে আসছে।
বেনাপোল পৌর এলাকার দিঘির পাড় গ্রামের সাহেব আলী নামে এক ভোক্তা জানান, আমি গত সপ্তাহে মিজানের দোকান থেকে গোশত কিনে খেতে পারিনি। এরকম বহু অভিযোগ স্থানীয় ভোক্তাদের।
বেনাপোল পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রাশিদা বেগম জানান, বেনাপোল বাজারের সব গরু-ছাগল জবাই হয় পৌর কসাইখানায়। যার দায়িত্বে আছেন তিনি। তবে, এ রুগ্ন গরুটি কসাইখানায় জবাই হয়নি বলে জানান।
মিজান কসাই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, যা হয়েছে সবই আপনারা দেখেছেন। কোনো কিছু জানার থাকলে ওসি’র সাথে কথা বলেন।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূলক কুমার মন্ডল বলেন, ঘটনাস্থলে বেনাপোল পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রাশিদা বেগম গিয়েছেন। নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে কসাইয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন