বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস আজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস আজ। জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মত বাংলাদেশেও সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসি প্রতি বছর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে আসছে। তবে এ বছর করোনার বৈশ্বিক মহামারীর কারণে অনলাইনে এবং বেতার ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারণার মধ্যেই দিবসটির কার্যকম সীমাবদ্ধ থাকবে। এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল হক সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে ১৮ মে দুপুর ২টা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ভার্চুয়াল সংলাপের আয়োজন করবে আইটিইউ। যেখানে প্রযুক্তির অগ্রগতির মাধ্যমে আগামী ১০ বছরে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জন এবং সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার বিষয় প্রাধান্য পাবে। এ দিবসের এক বার্তায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, বৈশ্বিক মহামারীসহ বিশ্বের যেকোনো জরুরি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন প্রযুক্তি তথা ফাইভ জি, বিগ ডাটা, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা হতে পারে শক্তিশালী হাতিয়ার। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কোটি কোটি মানুষকে সংযুক্ত করতে আশার বাতিঘর হিসেবে কাজ করতে পারে। করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) এর বৈশ্বিক মহামারীর সময়ে প্রিয়জন, স্কুল-কলেজ, কর্মস্থল, স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে যোগাযোগ রক্ষা করা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্ব টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য সংঘ দিবস আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয়, করোনাভাইরাসসহ বৈশ্বিক মহামারী মোকাবেলায় এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের এজেন্ডা অর্জনে তথ্য প্রযুক্তিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য।

আইটিইউ মহাসচিব হাউলিন ঝাও বলেন, বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেট ব্যবহার করছে না এবং বৈশ্বিক তথ্য প্রযুক্তির সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি খুবই ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। তাই সব মানুষকে বৈশ্বিক ডিজিটাল অর্থনীতিতে যুক্ত করতে সমন্বিত জোরালো প্রচেষ্টা দরকার। ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়নের এজেন্ডা অর্জনে এবং প্রযুক্তিগত বৈষম্য রোধে তথ্যপ্রযুক্তির সক্ষমতাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, নতুন প্রযুক্তি তথা ফাইভ জি, ইন্টারনেট অব থিংগস, বিগ ডাটা, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা এবং ব্লকচেইন মানব জীবনে সমৃদ্ধি আনার পাশাপাশি সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তথ্য প্রযুক্তিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য বলেও মনে করেন ঝাও।

১৮৬৫ সালের ১৭ মে ফ্রান্সের প্যারিসে আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ কনভেনশন স্বাক্ষরের মাধ্যমে হয় প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন ও ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক রেডিও টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন এর একত্রিত নাম হয় আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন বা (আইটিইউ)। ১৯৬৯ সালের পর থেকে প্রতি বছর বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস পালন করা হয়ে থাকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন