‘মুহতামিমের (মহাপরিচালক) দায়িত্ব আমি কাউকে দেইনি। কাউকে নায়েবে মুহতামিম করিনি। মাদরাসার জিম্মাদারিতে আমি এখনও আছি। গুজবে কান দেবেন না, আপনারা শান্ত হন।’
গত শনিবার রাতে হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক হেফাজতে ইসলামের আমির শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর এমন ভিডিও বার্তায় মাদরাসা এলাকায় জড়ো হওয়া শতাধিক আলেম, ছাত্র-শিক্ষক ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্থি ফিরে আসে। অবসান ঘটে উত্তেজনার। নায়েবে মুহতামিম আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরীকে সরিয়ে অন্যজনকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে এমন খবরে শুরু হয় উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। ১০৩ বছর বয়সী আল্লামা শফী অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই মাদরাসা এবং হেফাজতের দায়িত্বে কারা আসছেন না নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়।
এমন পরিস্থিতিতে একটি পক্ষ মহাপরিচালকের দায়িত্বে আসতে তৎপর হয়ে উঠে বলেও অভিযোগ আছে। আর এমন অভিযোগের তীর আল্লামা শফীর স্বজনসহ কয়েকজনের দিকে। যদিও হুজুরের ব্যাপারে সবাই আস্থাশীল। সিনিয়র শিক্ষক আহমদ দিদার কাসেমীকে ভারপ্রাপ্ত মহপরিচালক ও মাওলানা আনাছ মাদানিকে সহকারী মহাপরিচালক করা হচ্ছে বলে প্রচার করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় আলেমগণ মাদরাসার সামনে অবস্থান নিতে থাকেন। দিনভর উত্তেজনা আর অসন্তোষের পর সিনিয়র শিক্ষকদের একটি দল আল্লামা শফীর কামরায় গিয়ে পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
তিনি অসুস্থ অবস্থায় ২ মিনিট ৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তা দেন। জনতার উদ্দেশে তা প্রচার করা হয়। এতে তিনি বলেন, আমার অবর্তমানে কে দায়িত্ব নেবে তা শুরা বা পরিচালনা কমিটি ঠিক করবে। হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, হুজুর এখনও দায়িত্বে আছেন। তিনি যা বলেন সেটাই চূড়ান্ত। এখন আর কোন অসন্তোষ নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন