ঘুর্ণিঝড় ‘আমফান’ মোকাবেলায় গোটা খুলনায় ৩৪৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খুলে দেয়া হয়েছে এ অঞ্চলের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। করোনাকালীন সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রায় আড়াই লাখ উপকুলবাসীকে আশ্রয় দিতে এ ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ঘুর্ণিঝড় ‘আমফান’ মোকাবেলায় খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলা উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যে উপকুলবাসীকে সতর্ক করতে মাইকিং করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সকল প্রস্তুতি গ্রহন করেছে বলে বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ইনকিলাবকে নিশ্চিত করেন।
ঘুর্ণিঝড় ‘আমফান’ এ আতংকিত উপকুলবাসী জানান, স্বেচ্ছাশ্রমে ভেড়ীবাধ মেরামতের পাশাপাশি পাউবো যে কর্মকান্ড চালাচ্ছে তাতে চলতি মৌসুমে কমপক্ষে পৃথক পৃথক প্রায় ৪০-৫০ কি:মি: ভেড়ীবাধ অরক্ষিত আছে। ফলে করোনার চেয়ে উপকুলবাসী বেশি আতংকিত ঘুর্ণিঝড় ‘আমফান’ নিয়ে।
খুলনা জেলা প্রশাসক জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। ইউএনও’দের দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতি এড়াতে রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ প্রায় আড়াই হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। এছাড়া বিভিন্ন এনজিও’র সহ¯্রাধিক স্বেচ্ছাসেবক মাঠে রয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সহ করোনার কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে সেগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন