২০১৯ সালে ৯টি পরমাণু শক্তিধর দেশ অস্ত্র উৎপাদন ও হালনাগাদে ব্যয় করে ৭২.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে ৩৫.৪ বিলিয়ন ডলারই ব্যয় করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। -দ্য গার্ডিয়ান
মহামারী প্রতিরোধে তহবিল কমিয়ে গত তিন বছরের অস্ত্র খাতে ব্যয় বাড়িয়েছে দেশটি। পরমাণু অস্ত্র নিরোধ বিষয় আন্তর্জাতিক প্রচারণা সংস্থা (আইক্যান) বলেছে, স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পরমাণু অস্ত্রে ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে। করোনা ভাইরাস মহামারী পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতায় বিপুল পরিমাণ অর্থ অপচয় আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
প্রতিবেদনের প্রধান লেখক অ্যালিসিয়া স্যান্ডার্স জাকের বলেন, পূর্বের চেয়ে এটি এখন অনেক স্পষ্ট যে বৈশ্বিক মহামারীর সময় পরমাণু অস্ত্র আমাদের সুরক্ষা দিতে পারে না। পরমাণু অস্ত্রধারী ৯ দেশের জন্য তাদের অস্ত্র কোনো কাজে আসে না। বিশেষ করে দেখা যাচ্ছে চিকিৎসাসেবা কর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত প্রয়োজনিয় জিনিসপত্র সরবরাহের সক্ষমতা দেশগুলোর নেই।
রাশিয়া বিগত বছর পরমাণু অস্ত্র শক্তিশালীকরণ, দূরবর্তী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, সমুদ্রতলদেশে দীর্ঘমাত্রার পরমাণু টরপেডোজসহ আন্তমহাদেশি ব্যালেস্টিক মিসাইল হালনাগাদের ঘোষণা দিয়েছে। ২০১৯ সালে পরমাণু অস্ত্রে তাদের ব্যয় ৮.৫ বিলিয়ন ডলার। চীন ব্যয় করেছে ১০.৪ বিলিয়ন ডলার। তবে প্রত্যেকের ব্যয়ই যুক্তরাষ্ট্রে পরমাণু অস্ত্র খাতে বাজেটের অর্থকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেসের বাজেট অফিস জানিয়েছে, আসছে দশকে পরমাণু অস্ত্র প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় হবে ৫০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। যা সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের ব্যয়ের চাইতে ১০০ বিলিয়ন ডলার বেশি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন