শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অভিযোগ নিম্নমানের চাল সরবরাহ

ময়মনসিংহে খাদ্য সংগ্রহ বরাদ্ধ বাতিলের নির্দেশ

ময়মনসিংহ ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চলতি বছরে খাদ্যশস্য সংগ্রহ অভিযানে নিন্মমানের চাল সরবরাহের ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে জেলা প্রশাসনের ভেতরে বাইরে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরে খাদ্য শষ্য সংগ্রহ অভিযানে নিন্মমানের চাল সরবরাহ করেছেন হাজী এরশাদ আলী। গতকাল সদর উপজেলার সিএসডিতে এ ক্রয় অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কর্তৃপক্ষের চোখে ধরা পড়ে এ অনিয়ম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় সরবরাহকৃত চালের আদ্রতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন খোদ জেলা প্রশাসক। কারণ এ চালের আদ্রতা সাড়ে ১৪ থেকে সাড়ে ১৫ পার্সেন্ট। সেই সাথে চাল সরবরাহের বস্তাগুলিও নিন্মমানের। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা প্রশাসক অভিযুক্ত মিলগুলোর বরাদ্ধ বাতিল করে কালো তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাহাঙ্গীর আলমকে।
খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা হামানুর রহমান সরকার। তবে তিনি দাবি করেন, চালের মান খারাপ নয়। আদ্রতা একটু কম। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সূত্র জানায়, চলতি বছরে সদর এলাকায় প্রায় ১৩ শত মেট্রিক টন চাল সরকারিভাবে ক্রয়ের বরাদ্ধ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এর মধ্যে প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন চাল একাই সরবরাহ করছেন হাজী এগ্রো রাইস মিল ও হাজী অটোর মালিক হাজী মো. এরশাদ আলী।
সূত্রমতে, হাজী এরশাদ খাদ্য বিভাগে একজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ। এর আগে তার নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট নামে-বেনামে মিল দেখিয়ে খাদ্য বিভাগের হাজার হাজার টন ধান-চাল লুটপাট করাসহ নানান অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে সদর এলাকার ২২টি মিল কালো তালিকাভুক্ত করে সরকার। কিন্তু কিছুদিন পর রহস্যজনকভাবে জেলা প্রশাসকের কাছে মুছলেকা দিয়ে ফের বরাদ্ধ ভাগিয়ে নেন কালো তালিকাভুক্তরা।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, নিন্মমানের চাল সরবরাহের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে জেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ আহত ১৫
আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে তুচ্ছ ঘটনায় দুটি গ্রুপের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার কালাপাহাড়িয়ার ইউনিয়নের কদমীরচর গ্রামের সাত্তার ও বাদশা গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রোববার সাত্তার গ্রুপের নুরুল ইসলামের মাছ ধরার ঘের থেকে দুটি বাঁশ নিয়ে যায় বাদশা গ্রুপের একজন। পরে এটি নিয়ে বাদশা গ্রুপের কাছে জিজ্ঞাসা করতে গেলে সেখানে তাদের দুজনকে আহত করে বাদশা গ্রুপের লোকজন। এ ঘটনার সূত্র ধরে সোমবার সকালে যুবলীগ নেতা সাত্তার গ্রুপ লাঠিসোটা দাঁসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাদশা গ্রুপের উপর হামলা চালায়। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে ১৫ জন আহত হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন