করোনাভাইরাসে লকডাউন ও পঙ্গপালের হানায় বিশ্বে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা করা হলেও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলছে, খাদ্য পণ্যের বাজার এখনও স্থিতিশীল রয়েছে। গত এপ্রিলে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে ৩.৪ শতাংশ। এর মধ্যদিয়ে টানা তিন মাস কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম।
সংস্থার মতে, সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় অনেক পণ্যের চাহিদা কমেছে। করোনায় সবচেয়ে বেশি কমেছে চিনির দাম। এফএও জানায়, গত মাসে চিনির দাম কমে ১৩ বছরে সর্বনিম্ন হয়েছে। মার্চের চেয়ে এপ্রিলে দাম কমেছে ১৪.৬ শতাংশ।
সাধারণত ইথানল তৈরিতে বিপুল পরিমাণ আঁখ ব্যবহার হয় ব্রাজিলে। কিন্তু বিশ্বে জ্বালানি তেলের চাহিদা ও দাম কমে যাওয়ায় ইথানল তৈরিতে এখন আঁখ ব্যবহার না করে তা থেকে চিনি উৎপাদন করা হচ্ছে। ফলে বিপুল উদ্বৃত্ত থাকছে। পাশাপাশি আমদানিকারক দেশগুলো থেকেও চাহিদা কমেছে। এসব কারণেই নিম্নমুখী রয়েছে চিনির দাম।
সংস্থা জানায়, বিশ্ববাজার এপ্রিলে চিনির পাশাপাশি ভোজ্য তেলের দাম ৫.২ শতাংশ, দুগ্ধপণ্যের দাম ৩.৬ শতাংশ এবং গোশতের দাম ২.৭ শতাংশ কমেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন