করেনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে ঘুর্ণিঝড় আম্ফান। নোয়াখালীর উপকূলীয় ও দ্বীপাঞ্চলের অধিবাসীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। দু’টি দূর্যোগ কিভাবে মোকাবেলা করবে তা নিয়ে মহা দূ:শ্চিস্তায় পড়েছে লাখ লাখ অধিবাসী।
করোনাভাইরাসের কারনে গত দুইমাস গৃহবন্দি নোয়াখালীর উপকূলীয় ও দক্ষিনাঞ্চলের ১৫ লক্ষাধিক অধিবাসী। তারপর ঘূর্ণিঝড়ের আম্ফানের প্রস্তুতি। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জনসাধারণ প্রস্তুতি গ্রহন করছে।
প্রাকৃতিক দূর্যোগ বিশেষ করে ঝড় জলোচ্ছাসে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা নোয়াখালীর সূবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও মেঘনা বেষ্টিত হাতিয়া উপজেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে জানমাল রক্ষার্থে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্¦ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবচে ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা হিসেবে পরিচিত হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম ইনকিলাবকে জানান, হাতিয়া উপজেলায় ১৮৫টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গত দুইদিন মাইকযোগে জনসাধারণকে সতর্ক করে দেওয়া এবং নিরাপদস্থানে চলে যাবার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাসের কারনে সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩০জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মসজিদ থেকে ঘর্ণিঝড় সম্পর্কে জনসাধারণকে সতর্ক করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন