শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ইন্দুরকানীতে পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় লক্ষাধিক মানুষ

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২০, ৩:১৬ পিএম

উপকুলীয় জেলা পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে লক্ষাধিক মানুষ ঘূর্নিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের অভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে । এ উপজেলার বাসিন্দাদের জন্য নির্দিষ্ট কোন ঘূর্নিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নাই। তিন দিকে নদী বেষ্টিত এ উপজেলার বাসিন্দারা ঝড় এলেই আতংকে থাকে। নদীর কাছে আশ্রয় নেবার মত কোন বড় ভবন বা ঘূর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় ঝড় এলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তবে উপজেলায় স্কুল কাম সেল্টার ঘূর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ১২টি ৭টি দ্বিতলা ভবন সহ মোট ১৯টি কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এগুলোতে বিদ্যালয়ের ক্লাস চলে বলে এর চাবি থাকে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকদের কাছে।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেই চরাঞ্চল ও নদীর আশে পাশের মানুষ আতংকে দিন কাটায়। উপজেলার, টগরা, বালিপড়া, ইন্দুরকানী, ভবানীপুর, কালাইয়া, সাউদখালী, খোলপটুয়া, চাড়াখালী, চরলেশ্বরসহ গ্রামগুলুতে পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় এলাকার মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। এদের মধ্যে নদী পাশ্ববর্তী থাকায় কালাইয়া গ্রামটি সবচেয়ে বেশি ঝুকিপূর্ন সত্বেও এখানে নেই কোন আশ্রায় কেন্দ্র। ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ এম মতিউর রহমান জানান, এ উপজেলায় যেভাবে ঘনবসতিপূর্ন তাতে প্রতিটি গ্রামেই কমপক্ষে ১টি ঘুর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রয়োজন। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘুর্নিঝড় সিডরে উপজেলার প্রায় শতাধিক লোক মারা গেছে এবং এখনো অনেক লোক নিখোঁজ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ জানান,ঘুর্ণিঝড় আম্ফান কে ঘিরে এই উপজেলায় প্রস্তুতিমুলক সকল কার্যক্রম চলমান আছে। উপকূলিয়ও এলাকার স্কুল কাম-সাইক্লোন সেল্টারকে আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন