বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আবারো সর্বোচ্চ আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮৬

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৬১৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৬ হাজার ৭৩৮ জনে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১০ হাজার ২০৭ জনের। গতকাল বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। বুলেটিন উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি নতুন একটিসহ মোট ৪৩টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও ১১ হাজার ১৩৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১০ হাজার ২০৭টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ৩ হাজার ৮৫২টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ৬১৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৭৩৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৬ জন। এদের ১৩ জন পুরুষ, তিনজন নারী। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৮৬ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২১৪ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পাঁচ হাজার ২০৭ জন। নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, তিনজন নারী। সাতজন ঢাকা বিভাগের, পাঁচজন চট্টগ্রামের, তিনজন রংপুরের এবং একজন সিলেট বিভাগের। ১২ জন মারা গেছেন হাসপাতালে, চারজন মারা গেছেন বাসায়। বয়সের দিক থেকে একজন অনূর্ধ্ব ১০ বছরের, একজন ২১ থেকে ৩০ বছরের, একজন ত্রিশোর্ধ্ব, একজন চল্লিশোর্ধ্ব, পাঁচজন পঞ্চাশোর্ধ্ব, চারজন ষাটোর্ধ্ব, দুজন সত্তরোর্ধ্ব এবং একজন ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী।

গত মঙ্গলবারের বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জন মারা গেছেন। আট হাজার ৪৪৯টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ২৫১ জনের দেহে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা কমলেও যেমন বেড়েছে নমুনা পরীক্ষা, তেমনি হয়েছে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ডও। এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছিল এক হাজার ৬০২ জনের। এ তথ্য জানানো হয় গত ১৮ মের বুলেটিনে। গতকালের বুলেটিনে ডা. নাসিমা সুলতানা আরও জানান, করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত বিবেচনায় দেশে সুস্থতার হার ১৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৩০০ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন তিন হাজার ৮১৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১০০ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৮৯৩ জন। সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। মোট আইসোলেশন শয্যার মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে আছে ছয় হাজার ৩৪টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা আছে ৩৯৯টি, ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১০৬টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে চার হাজার ১১ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই লাখ ৫১ হাজার ৫০২ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ২৮৭ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন এক লাখ ৯৮ হাজার ৫৬২ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫২ হাজার ৯৪১ জন। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে। তিনি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানান বুলেটিনে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
একলা জীবন ২১ মে, ২০২০, ২:০৩ এএম says : 0
মৃত্যু আরও বারবে এত শুরু মাত্র কয়দিন পর মৃত্যুর মিছিল শুরু হবে... সবাই শুনুন এখনো সময় আছে সচেতন হন সবাই নিজে বাঁচেন অন্যকে বাঁচতে সাহায্য করুন,ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন
Total Reply(0)
অদৃশ্য মানব ২১ মে, ২০২০, ২:০৩ এএম says : 0
আগামীকাল নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা আবার না কমান, এটাই দেখার বিষয়।
Total Reply(0)
Kamal Pasha Jafree ২১ মে, ২০২০, ২:০৩ এএম says : 0
টেস্টের তুলনায় কিছুটা কম,হে আল্লাহ এই ভয়াবহ করোনা থেকে আমাদের রক্ষা করো। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি হলে ইনশাআল্লাহ কমে যাবে!
Total Reply(0)
রবিউল ইসলাম ২১ মে, ২০২০, ২:০৪ এএম says : 0
বাহ!অসাধারন একদিন বাড়লে পরের দিন কমে,পরের দিন কমলে আবার তার পরের দিন বাড়ে।আবার কালকে ১২০০ জন হবে।তারপর আবার ১৬০০,তারপর আবার ১৩০০।করোনা বাংলাদেশে ভারসাম্য বজায় রাখছে।
Total Reply(0)
Rahman Aminur ২১ মে, ২০২০, ২:০৪ এএম says : 0
যে জাতি ময়লা কোথায় ফেলতে হবে সেটাই শিখতে পারে নাই। তাঁরা আবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কী বুঝবে?সামাজিকতাও বুঝে না সামাজিক দূরত্বও বুঝে না! জিম্বাবুয়ে তে ফেয়ার এন্ড লাভলীর বিজ্ঞাপন দিয়ে লাভ নাই
Total Reply(0)
Md Nurul Amin ২১ মে, ২০২০, ২:০৪ এএম says : 0
হে আল্লাহ। আমাদের গুনাহের কারনে আমাদের আজাব গজব দিয়ে শরষ করে দিয়োনা।আমাদের মাপ করে দাও।আমরা তোমার গুনাহগার বান্দা।হে আল্লাহ আমাদের প্রতি তুমি রহম করো।
Total Reply(0)
Delower Hosen ২১ মে, ২০২০, ২:০৪ এএম says : 0
ওটা কোনো ব্যাপার না।ব্যাপার হলো এই সবাই কে মরতেই হবে।কেউ আগে কেউ পরে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন