ভোলায় আমফােনর তান্ডবে চারিদিকে বাতাসের ভয়ংকর শো শো শব্দ। প্রচন্ড বেগে ভোলা অতিক্রম করছে তেমনটাই বলছেন আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ফলে ভোলায় দুপুরের পর থেকে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী উত্তাল হয়ে উঠে। ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানি কয়েক ফুট বেড়ে যাওয়ায় বেড়িবাধের বাইরের এবং বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। মনপুরায় দেখা গেছে ভয়ংকর তান্ডব। বাড়ী ঘড় লন্ড ভন্ড করে দিয়েছে আমফান। গাছ চাপা পড়ে এবং ট্রলার ডুবে ২ জন নিহত হয়েছে। মনপুরা ও চরফ্যাশনের কলাতলিরচর, চরনিজাম, ডালচরসহ কয়েকটি চর বেড়িবাধ না থাকায় জোয়ারের পানিতে ডুবে গিয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানিয়েছেন, ভোলা সদরের মাঝের চর সহ তজুমদ্দিনের কয়েকটি চর থেকে, চরফ্যাসন, ঢালচর, মনপুরাসহ দুর্গম এলাকার চরাঞ্চল থেকে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ১৬ হাজার মানুষ ও ১ লাখ ৩৬ হাজার গবাদিপশুকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। এদের জন্য নগদ ৭ লাখ টাকা ও ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দুপুরে জেলা রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া চরাঞ্চলের মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে কোস্টগার্ড, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনসহ রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপির ১০ হাজার ২০০ সেচ্ছাসেবী।
ভোলার চরফ্যাসনের দক্ষিণ আইচা এলাকায় ঝড়ের সময় গাছের নিচে চাপা পরে ছিদ্দিক ফকির (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিন অাইচা থানার ওসি হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অপর দিকে লক্ষ্মীপুরের মঝুচৌধুরীর ঘাট থেকে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারযোগে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে ভোলায় আসার সময় ভোলার রাজাপুর এলাকায় কাছাকাছি এসে ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে রফিকুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি বোরহানউদ্দিন উপজেলার মনিরাম এলাকায় বলে জানা গেছে। বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন লালমোহন ও তজুমুদ্দিন এ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়কৃতদের মাঝে শুকনো খাবার ও রাতে খাবারের ব্যাবস্থা করেছে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন