বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রাজাপুরে ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা, ঘরবাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত

রাজাপুর ( ঝালকাঠি) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২০, ৮:১৫ পিএম

ঝালকাঠির রাজাপুরে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছপালা ও কৃষির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। গত বুধবার বিকালে ঘূর্ণিঝড় শুরুর পর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে উপজেলার ছয় ইউনিয়নের কোথাও কোন হাতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। রাজাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রিয়াজউল্লাহ বাহাদুর আজ সন্ধ্যা ৭ টায় মুঠো ফোনে জানান-- কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে,আম্ফালের প্রভাবে উপজেলার সর্বত্র ফসলী জমি১০০% পানিতে ডুবে আছে এতে ক্ষতির পরিমান হয়েছে যা নিরুপন করতে পারিনি- তবে প্রাথমিক ভাবে ডিপার্মেন্টাল একটি ক্ষযক্ষতির রিপোর্ট দেয়া হযেছে- --বীজ তলা ১১৫ হেকটর, আউশ এক হাজার ৭শ ৫ হেক্টর, বোরো ধান ১৬,আউশধান -১০৬, তীল৫, কলা পেপে - ১০, চিনা বাদাম৫, এ গুলো শতভাগ ক্ষতি হযেছে।ভূট্রা ১০ হেক্টর কম ক্ষতি হযেছে।এছাড়া করোলা, মিষ্টি কুমরা, ঢেরসসহ সবজি ক্ষেতগুলো মাটির সাথে মিশে গেছে।

জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত রাজাপুরের সাধারন মানুষ আতংকিত। এর প্রভাবে গতকাল বুধবার বিকেল থেকেই থেমে থেমে দমকা ঝড়ো হাওয়া, বৃষ্টি শুরু রাতআটটায ামফানের তান্ডব শুরু হয়।এভাবে শেষরাত পর্যন্ত তান্ডব চালায় ঘুর্ণীঝড় আম্ফান। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও বাতাসে তীব্রতা কমলে ও পূর্ব দক্ষিনের প্রবল বাতাসে মাঠ ঘাঠ তলিয়ে যায়।
উপজেলা সদরে অবস্থিত রাজাপুর ফাজিল মাদ্রাসার একটি একতলা পাকা ভবনের উপরে টিনসেটের বর্ধিত অংশ সম্পুর্ন বিদ্ধস্ত সহ উপজেলার অধিকাংশ টিন সেট স্কুল মাদ্রাসার টিনের চাল উপড়ে ফেলে, তোন কোন প্রতিস্ঠানে ভবনে ও গৃহে বড় বড় গাছ পড়ে বিদ্ধস্হ হয়েছে। এছাড়া উপজেলা সদরসহ বিভিন্নস্থানে অর্ধশতাধিক কাচা ঘর-বাড়ি বিদ্ধস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের বিশখালী নদীতীরবর্তী বাদুরতলা ও বড়ইয়া এলাকা সহ উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে পুকুর প্লাবিত
হয়েছে। এছাড়া বেশকিছু মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রাজাপুর পল্লী বিদ্যুতে প্রকৌশলী এজিএম রাজন কুমার দাস বলেন, ঘূর্নিঝড়ে আম্ফানের আঘাতে ম্যানটানেন্স বাবদ আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার এমন কোন জায়গা লাইনের উপর গাছপালা ভেংগে তারের উপর পরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ‘বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে আলোর গেরিলা ১০ টি কাজ করছে ।রাত্রের মধ্যে ৮০% কাজ সহ আশাকরি উপজেলা সদরসহ আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাবে।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ আজ রাত সাড়ে ৭ টা মুঠো ফোনে জানান-ডেমারেজ রিপোর্ট সব পাযনি এ জন্য ডি-ফরম রিপোর্ট দিতে পারিনি - এখন পর্যন্ত যা পেযেছি তাতে - মৎস ১৫ টি পুকুর সহ ৩৩ লক্ষ টাকা,কৃষিতে ৯২ লক্ষ টাকা, গবাদি পশু ১৭ লক্ষ, ঘরবাবাড়ি- ৫৮৬ টি সম্পুর্ন আংশিক ক্ষতি হয়েচে। বিদ্যুৎ ১৫ লক্ষ টাকা ম্যান্টানেন্স ক্ষতি হয়েছে।৩/৪ দিনের মধ্যে দিতে পারব।এমনিতে করোনা তারপর আমফান খুবই ব্যস্ত।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হাওলাদার হোমকোয়ারেন্টে থেকে বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাদের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন