শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সুন্দরবনের কারণে আবারো রক্ষা পেল উপকূলবাসী

শরণখোলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২০, ১২:৫৮ পিএম

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডব থেকে উপকূলবাসীকে আবারো বুক পেতে রক্ষা করেছে সুন্দরবন। সুন্দরবনের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি বা কোন প্রানহানী ঘটেনি শরণখোলায়। তবে সুন্দরবনের বণ্যপ্রানী, গাছপালা ও বন বিভাগের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বনসংলগ্ন বলেশ্বর নদীর টেংরা হাজির খালের মোহনায় একটি মৃত হরিণ পাওয়া গেছে।
২০০৭ সালের প্রলয়ঙ্কারী ঘর্ণিঝড় সিডর এবং পরবর্তীতে আইলা, মহাসিন, নার্গিস, ফনি ও বুলবুলের মতো ঘর্ণিঝড় থেকে রক্ষা করেছিল সুন্দরবন। এবারেও তার কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি। ঘুর্ণিঝড় আম্পানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করেছে শরণখোলার মানুষকে। তবে উপজেলার সাউথখালীতে নির্মানাধীন বেড়িবাঁধের দুই কিলোমিটার ভেঙ্গে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসসিএফ) মোঃ জয়নাল আবেদিন জানান, সুন্দরবন প্রতিবারের মতো এবারেও উপকূলবাসীকে রক্ষা করেছে। প্রতিবার ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে সুন্দরবনের ক্ষতি হয়। গাছপালার ক্ষতি হলে নিজেই আবার তা পুষিয়ে নেয়। তবে প্রতিবারেই বন বিভাগের অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়। গত বছরে ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত করে উঠতেই এবছর আবার আম্পানের আঘাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এসিএফ জানান, বুধবারের ঝড়ে সুন্দরবনের কটকা অভয়ারন্য কেন্দ্রের জেটি, বেশ কিছু ঝাউগাছ, বনরক্ষীদের আবাসীক ঘর ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া কটকা, দুবলা, কচিখালী, সুপতি, শেলারচরের সাতটি পুকুর লবন পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া এসব জায়গার বন অফিসের আটটি জেটি, তিনটি রাস্তা, সাতটি ঘর বিধ্বস্ত ও কিছু জব্দকরা সুন্দরী গাছ ভেসে গেছে। এসব ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের জন্য তারা বন পরিদর্শনে নেমেছেন।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ বেলায়েত হোসেন জানান, ঘুর্ণিঝড়ে সুন্দরবনে কোন বন্যপ্রানী মারা গেছে কিনা এবং গাছপালা-অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের জন্য শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের এসিএফদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের পৃথক দুইটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। তারা তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করবেন।
এদিকে সামাজিক বন বিভাগের পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, সুন্দরবনে ঝড়ের কবলে পরে মারা যাওয়া একটি চিত্রল হরিন বলেশ্বর নদীর টেংরা হাজির খালের মোহনায় পাওয়া গেছে। পরে হরিণটি উদ্ধার করে চামড়া খুলে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন