বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ইন্দুরকানীতে আমফানের ছোবলে বেড়ী বাঁধ বিলীন

৫ শতাধিক বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে উপকুলীয় বাসিন্দারা

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২০, ৩:৩৬ পিএম

ঘুর্নিঝড় আমফানের পানির তোড়ে ধুইয়ে নিয়ে গেছে বেড়ী বাধের বাইরে থাকা তাসলিমার ঘর। তাসলিমা বলেন পানিতে মোর সবকিছুই নিয়ে গেছে কোন রকম বেচে আছি। এহন মোর থাকার মত কিছুই নেই। এ কথাগুলো বলছিলেন পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার সাঈদখালী গ্রামের দিনমজুর খলিলের স্ত্রী তাসলিমা বেগম।
শুধু তাসলিমাই নয় বেড়ী বাঁধের বাইরে থাকা পাশাপাশি শহিদুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান এই চার জনের ঘর পানিতে একবারে ধুইয়ে নিয়ে গেছে। শুধু ঘরের কাঠামো টা হেলে দাড়িয়ে আছে। তারা শুধু বেঁেচ আছে। ঘরের সবকিছু পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
শুক্রবার কচা নদীর তীরে সাঈদখালী, কালাইয়া, টগড়া, খোলপটুয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আম্পানের পানির তোড়ে কচানদীর এ বছরের নির্মিত বেড়ীবাধ ধসে গেছে। টগড়া গ্রামের বেড়ী বাঁধ পানির তোড়ে বিলীন হয়ে যাওয়ায় পানি ঢুকে কমপক্ষে ২৫ টি বসত ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ফসলাদি নষ্ট হয়ে যায়। পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে ঘরের মালামাল। পানি দেখে ঘরের লোকজন দৌড়ে আশ্রয় নিয়েছে টগড়া ইন্দুরকানী সড়কে। উপজেলার কচা নদীর তীরবর্তী টগড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার জানান, আমরা বেড়ী বাধের মধ্যে ছিলাম হঠাৎ পানিতে বেড়ী ভেঙ্গে যাওয়ায় পানিঢুকে আমাদের বাড়ী ঘর ধুইয়া নিয়ে যায়। এখন জোয়ার আসলেই পানি ঢুকে নদীর তীরের বাড়ী গুলো পানিতে ভাসতে থাকে। আমাদের বাড়ীতে থাকতে হলে শক্তিশালী বেড়ীবাধ নির্মাণ দরকার। এভাব কচা নদীরতীরবর্তী টগড়া গ্রামের প্রায় ২ কিঃমিঃ বেড়ী বাধ, সহ সাঈদখালী , খোলপটুয়া, কলারণ ও কালাইয়া গ্রামের বেড়ী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ওই এলাকার মানুষ চরম আতংকে রয়েছে। আম্পানের প্রভাবে এ উপজেলার সাঈদখালী গুচ্ছ গ্রাম, চাড়াখালী গুচ্ছগ্রাম সহ প্রায় ৫ শতাধিক ঘর কম বেশী বিধ্বস্ত হয়েছে।
বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী চাড়াখালী গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা আল আমিন হোসেন বলেন, চাড়াখালী আদর্শ গ্রামের তিনভাগের দুই ভাগই নদীতে বিলিন হয়ে গেছে । সিডর আইলা বুলবুল ও আম্ফানের ছোবলে আমাদের যেটুকু ছিল তাও বিলিন হওয়ার পথে । সরকারে কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি আমাদের ভিটাবাড়ি রক্ষা করার জন্য টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ জানান, আম্পানের তান্ডবে এ উপজেলায় প্রায় চারশতাধিকের বেশী বাড়িঘর কম বেশী বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে কচা ও বলেশ্বর নদীর বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। বেড়ী বাঁধ দ্রুত মেরামতের জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখিযেছি। ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ২০ মেঃ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাই সহায়তা পাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন