শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আল্লাহ’র দিকে ধাবিত হওয়ার জন্যই করোনা এসেছে-বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম

সারাদেশে জুমাতুল বিদা পালিত

শামসুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২০, ৪:৩০ পিএম

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারীতে আজ মাহে রমজানের শেষ জুমায় দেশব্যাপী মসজিদে-মসজিদে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় ও দোয়ায় শরিক হওয়ার মধ্যদিয়ে জুমাতুল বিদা পালন করেছেন। এ দিবসকে আল কুদস দিবসও বলা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলে থাকা মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাস পুনরুদ্ধারের দাবিতে প্রতি বছর রমজানের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদা বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। এবার মহামারীর কারণে কোনো বিশেষ সভা-সমাবেশ র‌্যালী ছাড়াই দোয়ার মাধ্যমে আল কুদস পালিত হয়েছে। জুমার খুৎবায় রমজানের তাৎপর্য ও কুরআন নাজিলসহ ইসলামী জীবন পালন সম্পর্কে খতীবরা ব্যাপক আলোচনা করেছেন।
জুমাতুল বিদায় অনেক মসজিদে জায়গা সঙ্কুলান না হওয়ায় মুসল্লিরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই রাস্তার ওপর জুমার নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কুরআন নাজিলের মাসে আল্লাহপাকের রহমত, বরকত ও নাজাত লাভের আশায় জুমা শেষে মোনাজাতে মুসল্লিদের মাঝে কান্নার রোল পড়ে যায়। জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে মসজিদের ইমাম খতীবরা মাহে রমজানের গুরুত্ব, তাৎপর্য এবং পরবর্তী ১১ মাসে যথাযথ ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে জীবন যাপনের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা, দেশ, জাতি, এবং মুসলিম উম্মাহর শান্তি, কল্যাণ, সমৃদ্ধি কামনা করে মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া করা হয়। রাজধানীর মহাখালিস্থ মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জুমাতুল বিদায় বিপুল সংখ্যক মুসল্লি নাজাম আদায় করেন। নামাজ শেষে মহান আল্লাহর রহমত, বরকত ও নৈকট্য লাভসহ দেশ জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের প্রত্যেক প্রবেশ পথে স্বাস্থ্যবিধি সুরক্ষায় স্যানিটাইজার বুথ স্থাপন করা হয়। সকাল ১১টায় মসজিদের গেইট খুলে দেয়ার সাথে সাথে অপেক্ষমান মুসল্লিরা হুরহুর করে মসজিদে প্রবেশ করেন। এক কাতার পর পর মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে খুৎবা পূর্ব বয়ানে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মহিউদ্দিন কাসেম বলেন, করোনাভাইরাস পাঠিয়েছেন আমাদের সর্তক করার এবং আল্লাহর দিকে ধাবিত হওয়ার জন্য। কিন্ত এর নিদর্শনাবলী আমাদের মাঝে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বরং এখনো আমরা আল্লাহপাকের নাফরমানি করছি। পেশ ইমাম বলেন, মরণঘাতী করোনা সংক্রমণের সময়ে এ বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে যে, সন্তান, স্ত্রী আত্মীয় স্বজন কেউ কারো নয়। যেমনটি ঠিক কিয়ামতের দিবসে সংঘটিত হবে। সুতরাং অন্য কারোর জন্য আমাদের পরকালকে নষ্ট করা উচিত হবে না। বরং আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে হবে এবং সমস্ত গুনাহ ছেড়ে বেশি বেশি নেক আমল করতে হবে।
পেশ ইমাম বলেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে মুসলমান রমজান মাস পেল, কিন্ত সারা বছরের গুনাহখাতা মাফ করিয়ে নিতে পারল না, তার মতো হতভাগা আর নেই।’ ঈদের জামাতের আগেই ফিতরা আদায়ের গুরুত্ব তুলে ধরে পেশ ইমাম বলেন, বিত্তশালী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ পনিরের দাম হিসেব করে জনপ্রতি (২২০০) টাকা আদায় করতে হবে। তবে সর্বনিম্ন ৭০ টাকা দিলেও ফিতরা আদায় হয়ে যাবে।
পেশ ইমাম এ মহামারী প্রার্দুভাব থেকে রক্ষায় বেশি বেশি তাওবা-ইস্তিগফার, ইবাদত বন্দেগি, কুরআন তিলাওয়াত ও জিকির-আজকারের মাধ্যমে সামনের দিনগুলো অতিবাহিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
চকবাজার থানার ইসলামবাগ বড় মসজিদের ইমাম মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি আজ খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, রমজানের শেষ প্রান্তে আমাদের সকলেই ভাবা উচিত আমরা আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা প্রাপ্তদের কাতারে শামিল হতে পারলাম কি না ? বাকি প্রতিটা মূহুর্তকে যাতে কাজে লাগিয়ে সৌভাগ্যবানদের কাতারে শামিল হতে পারি সেই তৌফিক সবাইকে আল্লাহপাক দান করুন। আমিন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
মো সোহাগ হাসান ২২ মে, ২০২০, ৬:২২ পিএম says : 0
আলহামদুলিল্লাহ সময়োচিত আলোচনা।
Total Reply(0)
Mohammad Sirajullah, M.D. ২২ মে, ২০২০, ৭:৪৫ পিএম says : 0
We face this question everyday and can not answer with our very limited knowledge of Islam. Question is what will happen to millions of people who did not hear about Prophet Muhammad (SA) and his prophethood. Even in Bangladesh people did not hear about the prophethood of Muhammad (SA) until 600 years after his death. What would happen to these fore fathers of ours. They lived in the period of Muhammad (SA) ‘s Nobuyat but did not hear his name even. Same is true for the millions of people who lived in American Continents. Next question comes the Bush men in Andaman, Australia, New zealand and Amazon (They stay naked) who were not visited by any body from Tabligee Jamat. Will they go to heaven ? or get burnt in Hell. Also What will happen to Hijras. Will any body with better religious knowledge please write an article on this subject for our education. Islam says education is mandatory for all the Muslims and Muslimas.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন