বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গৌরনদীতে ভূল চিকিৎসায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যু মামলা দায়ের, গ্রেফতার -২

গৌরনদী (বরিশাল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২০, ৭:৪২ পিএম

বরিশালের গৌরনদীতে আনোয়ারা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভূল চিকিৎসায় এক প্রসূতি মা’য়ের (গৃহবধুর) মৃত্যুর অভিযোগে ক্লিনিকের মালিকসহ ৫ স্টাফকে আসামি করে গৌরনদী থানায় একটি অপরাধজনক নরহত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিহতের স্বামী উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের দত্তসার গ্রামের কুদ্দুস তালুকদার বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- ওই ক্লিনিকের মালিক অবসরপ্রাপ্ত ফার্মাসিষ্ট মোঃ হেদায়েত উল্লাহ্, তার স্ত্রী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স শামিমা ইয়াসমিন, ক্লিনিকের মেডিকেল এসিস্ট্যান্ড অজয় হালদার, ওটিবয় রিপন মিস্ত্রি, নার্স সাহিদা বেগম। থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ক্লিনিকের মেডিকেল এসিস্ট্যান্ড অজয় হালদার, ওটিবয় রিপন মিস্ত্রিকে গ্রেফতার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য প্রসূতি মা’য়ের লাশ উদ্ধার করে গতকাল শুক্রবার সকালে বরিশাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গৌরনদী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ মাহাবুবুর রহমান জানান, উজিরপুর উপজেলার দত্তসার গ্রামের কুদ্দুস তালুকদারের ত্রী আফরোজা আক্তার মুন্নীর (২৩) প্রসব বেদনা শুরু হলে স্বজনরা বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে গৌরনদী আনোয়ারা ক্লিনিকে ভর্তি করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়্যিদ আমরুল্লাহ সিজারিয়ান অপারেশন করতে আসার পূর্বেই ওইদিন দুপুর ২টার দিকে ক্লিনিকের মালিক ও ভূয়া ডাক্তার মোঃ হেদায়েত উল্লাহ ওই প্রসূতি গৃহবধুকে (মুন্নী) অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে অজ্ঞানের (অ্যান্সেতেশিয়া) ইনজেকশন পুশ করেন। এর কিছুক্ষন পর ডাঃ সায়্যিদ ক্লিনিকের ওটিতে এসে দেখতে পান, প্রসূতি মুন্নীর অজ্ঞান অবস্থায় বেশী শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এ কারণে প্রসূতি গৃহবধুর সিজার না করে শ্বাসকষ্ট কমানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। মুমূর্ষ অবস্থায় প্রসূতি মুন্নীকে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ও তার (মুন্নীর) পেটের সন্তানকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে ক্লিনিক থেকে কথিত ডাক্তার ও আনোয়ারা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক হেদায়েত উল্লাহ পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে নিহতের স্বামী কুদ্দুস তালুকদার বাদি হয়ে ক্লিনিকের মালিক ও তার স্ত্রীসহ ৫ জনকে আসামি করে ওইদিন রাতে থানায় একটি অপরাধজনক নরহত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে মামলার ২ আসামিকে গ্রেফতার করে গতকাল শুক্রবার দুপুরে বরিশাল আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিচারক তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেন। নিহত মুন্নীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল শুক্রবার সকালে বরিশাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাহাবুবুর রহমান জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন