নোয়াখালীতে করোনা সংক্রমণ রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ১২ থেকে ১৫ জন আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমানে এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৫ জন।
গত ৫মে নোয়াখালীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৮জন। কিন্তু গত ১৭ দিনে তা বৃদ্ধি পেয়ে ২৭৫ জনে পৌছেছে। এমন অবস্থায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কারনে অকারনে লোকজন হাট বাজারে ভীড় করছে। এছাড়া জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে বিপনীগুলোতে ঈদের কেনাকাটা চলছে।
নোয়াখালী জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রতিটি উপজেলায় পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থার ব্যাপক প্রচারণা সত্বেও মহিলারা ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত রয়েছে। মার্কেটগুলোর দোকানীরা দোকানের বাইরে অপেক্ষা করে থাকে। পরে ক্রেতা এলে দোকান খুলে তারা খদ্দেরের চাহিদামত পণ্যসামগ্রী বিক্রি করছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ক্রেতাদের বের করে দেয়। কিন্তু জনসাধারণের সচেতনতার অভাবে নোয়াখালীতে করোনা আশঙ্কাজনকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।
বৃহত্তর নোয়াখালীর চৌমুহনী বাজারকে করোনা সংক্রমণের সূতিকাগার বলা হয়। প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রতিদিন চৌমুহনী বাজারে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। বর্তমানে নোয়াখালীতে ২৭৫ জন করোনা রোগীর মধ্যে চৌমুহনী তথা বেগমগঞ্জ উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা ১৩৫জন বলে জানা গেছে।
এক কথা প্রশাসন তথা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানও কাজে আসছে না। ফলে অসচতেনতার কারনে নোয়াখালীর প্রতিটি উপজেলায় করোনা সংক্রমণ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ রোধে নোয়াখালীতে কঠোরভাবে লকডাউন করার দাবি জানিয়েছে এখানকার সচেতন মহল। তাদের যুক্তি হচ্ছে, কিছু লোকের কারনে নোয়াখালীতে করোনা বিস্তারলাভ করছে। সুতরাং এক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর ভূমিকা পালনের বিকল্প নাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন