করোনাকালেও মানুষ উদভ্রান্তের মত ছুটছে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য। করোনাভাইরাসের ভয়াবহতাকেও তারা থোরাই কেয়ার করছে। গোপনে কেনাকাটা করছে দোকান মালিক-কর্মচারিদের সহায়তায়। ফলে প্রশাসনও মাঠে নেমেছে তাদের ঠেকাতে।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী মহানগরী এতদিন ভালই ছিল। দোকানপাট খোলার খবরে মানুষের আনাগোনা বাড়ে। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। এ পর্যন্ত নগরীতে ৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। সেনাবাহিনী ও পুলিশ মাঠে তৎপরতা বাড়ায়। মার্কেট-দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকার পরেও কিছু কিছু ব্যবসায়ী কৌশলে দোকান খুলছেন। দোকান থেকে মালামাল তুলে দিচ্ছেন ক্রেতার হাতে।
যারা বিক্রি ও ঈদের কেনাকাটা করছেন তাদেরও ধরে ধরে জরিমানা করছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। শুক্রবার রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার এলাকায় এভাবে বেশ ক’জনকে জরিমানা করতে দেখা যায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত আমান আজিজকে। হাতে শপিং ব্যাগ দেখে সাহেব বাজার এলাকায় দুই নারীকে আটকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত আমানের কাছে স্বীকার করেন তারা ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন। তখন ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ৩০০ করে ৬০০ টাকা জরিমানা করেন।
পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে আছেন। বিনা প্রয়োজনে ঘোরাফেরা করলে জরিমানার পাশাপাশি রাস্তায় ১৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত দাঁড় করিয়ে রেখে শাস্তি দেয়া হচ্ছে।
গোদাগাড়ী (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, করোনা সংক্রমণ সচেতনতায় সরকারিভাবে দোকানপাট খোলার নির্দেশনা অমান্য করে গোদাগাড়ী উপজেলা সদরে গোপনে দোকান খুলে কেনাবেচা চলছিলো। শুক্রবার সকালে গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মাদ ইমরানুল হক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। তিনি গোদাগাড়ী সদর মার্কেটে গার্মেন্টস, কমমেটিক, জুতা-স্যান্ডেলসহ বিভিন্ন দোকান মালিক ও কর্মচারীরা দোকানের বাইরের দরজা বন্ধ রেখে ভেতর থেকে গোপনে পণ্য বেচাকেনা করছিলো।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোদাগাড়ী পুলিশের সহযোগিতায় তল্লাশি ৬ দোকানের মালিক ও কর্মচারীকে দোকান হতে হাতে নাতে ধরে ফেলে। সরকারি আদেশ অমান্য করায় পরে ৬ দোকান মালিককে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করে।
শরণখোলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, শরণখোলায় লকডাউন অমান্য করে দোকান খোলার অপরাধে উপজেলা সদরসহ তিনটি বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় বিভিন্ন ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন