বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

সন্ত্রাস মোকাবেলায় ছেলে-মেয়েদের বেড়ে ওঠার প্রাকৃতিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে -পবা

প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিপথগামিতা ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় ছেলে-মেয়েদের বেড়ে উঠার সুষ্ঠু সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলন (পবা)। তাদের মতে, আমাদের পারিবারিক, সামাজিক জীবন ক্রমাগত অস্থির হয়ে পড়ছে। প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সামাজিক পরিবেশের অবক্ষয় হচ্ছে, আমরা সজ্ঞানে বা না জেনে এই পরিবেশ ধ্বংসকে ত্বরান্বিত করছি। তরুণ-কিশোরদের বিপথগামী হওয়ার পিছনে এটাও একটি অন্যতম কারণ। বিপথগামিতা ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় ছেলে-মেয়েদের বেড়ে উঠার সুষ্ঠু সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৬টি পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তারা উক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন। পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো: আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন নাসফের সভাপতি ও পবা’র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান ময়না, মার্শাল আর্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আতিক মোরশেদ, নির্বাহী সদস্য তাসনীম নাঈমা, পবার সম্পাদক ম-লীর সদস্য তারিক হাসান মিঠুল, মডার্ণ ক্লাবের সভাপতি আবুল হাসনাত, বিসিএইচআরডির নির্বাহী পরিচালক মাহবুল হক, গ্রীণ এনভায়রন মুভমেন্টের সভাপতি মঞ্জুর হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার সংস্থার সভাপতি মো: বাবুল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী এখন সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দযুগল হচ্ছে ‘সন্ত্রাস’ এবং ‘সন্ত্রাসী হামলা’। ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলার ভয়াবহ ফলাফল আমরা অতীব বেদনা ও তীব্র ঘৃণার সাথে প্রত্যক্ষ করেছি। বাংলাদেশেও এই বর্বর ঘটনার শুরু হয়েছে গত শতাব্দীর শেষ দশক হতে। তারা আরো বলেন, দেশের কিশোর-তরুণদের যেখানে স্বাভাবিকভাবে বিকশিত হওয়ার কথা সেখানে তারা বিপথগামী হচ্ছে। তারা ঝুঁকে পড়ছে সন্ত্রাসবাদের দিকে। ফলে দেশ এবং জাতি যেমন অপরিমেয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তেমনি ঝরে যাচ্ছে অনেক সম্ভাবনাময় তরুণ প্রাণ। আমাদের কর্তব্য হচ্ছে এই কিশোর-তরুণদের বিপথগামিতা থেকে রক্ষা করা এবং এটাই হবে সন্ত্রাসকে মূলোৎপাটনের মৌলিক কাজ। ব্যক্তি জীবন থেকে রাষ্ট্রজীবন পর্যন্ত সদাচারী হতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। সর্বপর্যায়ে শিক্ষা হবে আনন্দময় ও প্রকৃতিসম্মত। শিশুদের জন্য আনন্দের বিনোদনের পর্যাপ্ত আয়োজন রাখতে হবে। খেলার পর্যাপ্ত মাঠ, পার্ক রাখতে হবে। প্রকৃতির বিন্যাসের সাথে সামঞ্জস্য জীবনধারা গড়ে তুলতে হবে। যেসব কারণে শিশুদের মধ্যে হতাশা, ক্ষোভ ও ক্রোধ তৈরি হয় সে কারণগুলো যথাসাধ্য দূর করতে প্রয়াসী হতে হবে। সর্বোপরি শিশু-কিশোর তরুণদের সামনে মানব কল্যাণের স্বপ্ন তুলে ধরে সেই পথে তাকে নিরন্তর ডেকে যেতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন