শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চলছে ঈদের কেনাকাটা-মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০২০, ৩:৪০ পিএম

স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই রাজধানীতে ঈদের কেনাকাটা করছেন অনেকে। গত কয়েক দিনের তুলনায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ক্রেতা সমাগমও বেশি। তবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা খুবই কম। নেই নিরাপদ দূরত্বও। কেনাকাটার ক্ষেত্রে শপিং মলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যবস্থা থাকলেও ছোট মার্কেটগুলি এর ব্যতিক্রম। ন্যুনতম স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছেনা এখানে। ফলে বাড়ছে সংক্রমনের ঝুকি ।
বসুন্ধরা শপিং মল, যমুনা ফিউচার পার্কসহ বড় বড় বড় শপিং মল বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রি বাট্টা চলছে। বিশেষ করে ফুটপাত ও সড়কের পাশের দোকানগুলোতে ভিড় বেশি। নিউমার্কেট বন্ধ থাকলেও তার উল্টোদিকে গাউছিয়া ও চাঁদনী চক খোলা রয়েছে। সেখানে কেনাকাটাও চলছে বেশ। তবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব নেই। অনেকে বাচ্চাদেরও নিয়ে এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে। সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর গুলিস্তানের ফুটপাতে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই সাধারণ মানুষ কেনাকাটা করছে। ভিড়ের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
´বাইছ্যা লন, খুইজ্যা লন, এই দিকে এই দিকে, স্টক সীমিত। যেইড্যা লন একশ´, একশ।´ এভাবেই হাঁকডাক দিয়ে কেনাকাটা চলছে মিরপুর-১০ নম্বরের ফুটপাতে। স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। অধিকাংশের মুখে মাস্ক থাকলেও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় ভ্রুক্ষেপ নেই তেমন।
ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে বসা দোকানিরা জানান, দেশে করোনা সংক্রমণের পর অনেক দিন ফুটপাতে দোকান বসানো হয়নি। গত কয়েকদিনে আবারও ফুটপাতে দেদার চলছে কেনাকাটা।
গাউছিয়া ও চাঁদনী চক এবং গুলিস্তানে ভ্যানের ওপর ও রাস্তায় কয়েকশ´ দোকান খুলে বসে আছেন বিক্রেতারা। যেখানে কেনাবেচার হাঁকডাক চলছে। একাধিক ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। সজল হোসেন নামে এক বিক্রেতা বলেন, দোকান না বহাইলে খামু কী। পেট কেমনে চলব। এরই মধ্যে অনেক দেনা হয়েছে। দোকান বহাইতে পারলে পেডে খাবার যাইব।
ইসমাইল নামে আরেক বিক্রেতা জানান, অনেক দিন দোকান বন্ধ ছিল তার। স্বাভাবিক সময় ফুটপাতে দোকান বসাতে নানা ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়। এখন আরও ঝুঁকি নিয়ে দোকান বসিয়েছেন। প্রতিবার ঈদের আগে এই সময় কেনাবেচা বেশ জমে ওঠে। এবার করোনা সবকিছু বদলে দিয়েছে।
চাঁদনী চকে মনিরা হোসেন নামে এক নারীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, ধানমন্ডি থেকে ছেলেমেয়েদের জন্য কিছু পোশাক কিনতে এসেছেন। অল্প সময়ের মধ্যে কিনে আবার বাসায় ফিরে যাবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন