রাজশাহীতে প্রতিদিন হুহু করছে বাড়ছে করোনা রোগী। রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক জানান, গত বৃৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ৫১টি নমুনা পাঠানো হয়। শনিবার সকাল ১০টায় তারা রিপোর্ট পাঠায়। এর মধ্যে ৭টিতে করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়।
তবে এদের মধ্যে রাজশাহী নগরীতে কোন করোনা রোগী পাওয়া যায়নি। জেলার তানোর উপজেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩ জন। এছাড়া পবা উপজেলায় একজন, পুঠিয়ায় একজন ও দুর্গাপুরের একজনের শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে তানোর উপজেলায় মোট ৯ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন তানোর থানার দুই পুলিশ সদস্য।
তানোরে তিনজন আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা থেকে ফিরেছেন দুইজন। এদের একজনের বাড়ি উপজেলার কোয়েলহাট গ্রামে। অন্যজনের বাড়ি মহাদেবপুর গ্রামে। তারা ঢাকা থেকে ফেরার পর কোয়ারেন্টাইনেই আছেন। এছাড়া এদের মধ্যে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড বয় রয়েছেন।
পুঠিয়ায় নারায়ণগঞ্জ ফেরত এক শ্রমিকের করোনার রিপোর্ট পজেটিভ পাওয়া যায়। এনিয়ে গত ৬দিনে পুঠিয়ায় তিনজনের করোনা শনাক্ত হলো। আক্রান্ত রোগী উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের বিলমাড়িয়া গ্রামের চান্দু মন্ডলের ছেলে আবুল কালাম (৪০)। তিনি গত ১৭ মে নারায়নগঞ্জ এলাকা থেকে বাড়ি ফিরেছেন। বাড়ি ফেরার পরদিন ১৮ মে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ২২ মে তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসে। বর্তমানে তাকে হোস আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে দিয়ে উপজেলা প্রশাসন।
দুর্গাপুরে আক্রান্ত হয়েছেন একজন কিশোর। তিনি সাভারের মোহাম্মদ আলী ইয়াকুব হোসেন স্কুলের দশম শ্রেণী ছাত্র। তার নাম তুষার আহমেদ (১৬)। তার বাবা পোশাকশ্রমিক। তিনি গত ১৫ মে গাজীপুর থেকে রাজশাহী আসলে অসুস্থবোধ করলে ১৯ মে নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্যকর্মিরা। বর্তমানে সে ্উপজেলার কিসমত গণকৈড় গ্রামে নিজ বাসার আইসোলেশনে আছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন