স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইসমাঈল নুরপুরী বলেছেন, আল্লাহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন সময়ে মুমিনদের ওপর জিহাদ ফরজ করেছেন। কোনো মুমিন জিহাদকে অস্বীকার করতে পারে না। জিহাদ এসেছে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও তাগুতী শক্তির মূলোৎপাটন করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য। সাম্রাজ্যবাদীরা জিহাদকে কলুষিত ও বিতর্কিত করতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ইসলাম আজ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কবলে নিপতিত। অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে না। বাংলাদেশেও ইসলাম ও মুসলমানদের হেয় করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। মসজিদকে টার্গেট ও খুতবা নির্দিষ্ট করে দিয়ে সরকার বিশ্বে ইসলাম ও মুসলমানদের জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করছে। এটা দেশ ও সরকারের জন্য কল্যাণকর নয়। অবিলম্বে মসজিদে নজরদারি ও নির্দিষ্ট খুতবাদান বাতিল করুন, অন্যথায় হিতে বিপরীত হবে। তিনি আরো বলেন, ইসলামী শিক্ষা বাদ দিয়ে কুফর শিক্ষা গ্রহণ করার কারণেই সমাজে জঙ্গি, সন্ত্রাস, হত্যা, ধর্ষণসহ নানাবিধ অপকর্ম ছড়িয়ে পড়ছে। এদেশের আলেম-উলামা ও মসজিদের খতিবগণ বলে আসছিলেন, সন্তানদের দ্বীনের জ্ঞান তথা আল্লাহ প্রদত্ত শিক্ষা দেয়ার জন্য, অথচ একশ্রেণীর লোকেরা আধুনিকতার নামে আলেম-উলামাদের বক্তব্যের বিরোধিতা করে আসছিল। যার পরিণতিতে বর্তমানে দেশের এ অবস্থা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা তাকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু বর্তমান শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন ও হিন্দুত্ববাদের পাঠ্যসূচি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দিতে হলে শিক্ষার সকল স্তরে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
গতকাল বিকেলে দলীয় কার্যালায়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের পরিচালনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল আজিজ, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, প্রচার প্রকাশনা ও অফিস সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, আর্ন্তজাতিক সম্পাদক মাওলানা ফয়েজ আহমদ, নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, হাফেজ শহীদুর রহমান, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা এনামুল হক নূর প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন