চট্টগ্রাম থেকে নানা উপায়ে ঘরে ফিরছে মানুষ। এবার মাইক্রোবাসে ´ইমার্জেন্সি রোগীর´ স্টিকার লাগিয়ে যাত্রী পরিবহনের সময় একটি মাইক্রোবাস আটক করা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার সময় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মাইক্রোবাস আটক ও জরিমানা করা হয়।
শনিবার বিকেলে বাকলিয়ার শাহ আমানত কর্ণফুলী ব্রীজে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তৌহিদুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় চট্টগ্রাম শহর ছেড়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলাসহ বান্দরবান এবং কক্সবাজার অভিমুখী প্রায় ১৫ টি মোটরবাইকের চাবি জব্দ করা হয়। মোটরবাইকের যাত্রী এবং চালকদের নিজ নিজ বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্টেট জানান অভিযানে একটি মাইক্রোবাস আটক করা হয়। মাইক্রোবাসের গায়ে ইমারজেন্সি রোগী স্টিকার লাগানো ছিলো। কিন্তু পুলিশ দিয়ে মাইক্রোবাসটি তল্লাশী করে দেখা যায় মাইক্রোবাসের মধ্যে সবাই যাত্রী। এ অপরাধে ড্রাইভারকে আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের কক্সবাজার অভিমুখী তিনটি পরিবারের যাত্রীদের চট্টগ্রাম শহরে তাদের নিজ বাসায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ির অপব্যবহার করে এবং গাড়ির গায়ে "ইমারজেন্সি রোগী" সহ বিভিন্ন ভুয়া স্টিকার লাগিয়ে অপকৌশলে অনেকে প্রাইভেট কার এবং মাইক্রোবাস ভাড়া করে চট্টগ্রাম শহর ছেড়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন। একই গাড়িতে কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘপথ ভ্রমণ করলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি প্রবল।
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান চট্টগ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন