দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে আরো ৮জন কোভিড-১৯ রোগী সনাক্ত হবার মধ্যে দিয়ে করেনা ভাইরাস সংক্রমিত মোট রোগীর সংখ্যা ৩৪০-এ উন্নীত হল। তবে এরমধ্যে সুস্থ্য হয়ে উঠছেন ১২৩জন। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় পটুয়াখালী, ভোলা ও পিরোজপুর হাসপাতাল থেকে আরো ৫জন রোগী সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে। তবে গত ২৪ ঘন্টায় শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে এক জনের মৃত্যু ঘটেছে। এ নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে মৃত্যু হল ২২ জনের। বর্তমানে এ হাসপাতালের আইসোলেশনে ৭ জন ও করেনা ওয়ার্ডে ১২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত ৪৪৮ জনের মধ্যে ২৫৮ জনকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া এপর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের হাসপাতালাগুলোর করেনা ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৩১। এ অঞ্চলে কোভিড-১৯ সনাক্ত রোগীর মধ্যে মৃত ৭জনের দুজন মারা গেছে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল ও ভোলাতে ৪ জন করে রোগী রয়েছে। এরফলে বরিশালে মোট আক্রান্ত ১৪১, বরগুনাতে ৪৯, পিরোজপুরে ৫৩, পটুয়াখালীতে ৪১, ঝালকাঠীতে ৩৪ ও ভোলাতে ২২ জনে উন্নীত হল। গত ১০ দিনে বরিশাল, ভোলা ও পিরোজপুরের পরিস্থিতি দ্রæত অবনতি ঘটেছে। রবিবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় ভোলাতে নতুন করে ৪ জন আক্রান্ত হলেও এসময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এপর্যন্ত বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন-অবজার্ভেশন ও করেনা ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত ১৬৭ জনের রক্তের নমুনা পরিক্ষায় ১৩৪ জনেরই নেগেটিভ ফল পাওয়া গেছে। অবশিষ্ট ৪৪ জনের ফল ছিল পজেটিভ। হাসপাতালটিতে এপর্যন্ত ভর্তিকৃত ৪৪ জনের মধ্যে ২৪জন সুস্থ্য হয়ে ঘরে ফিরেছেন । এছাড়া ৬ জনকে ঢাকা পাঠান হয়েছে। আর রক্ত পরিক্ষার আগেই হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে ২জন।
দক্ষিণাঞ্চলের ক্রমাবনতিশীল পরিস্থিতিতে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞগন অবিলম্বে যথাযথভাবে লকডাউন প্রয়োগের তাগিদ দিয়েছেন। নচেত পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে তারা সতর্ক করে দিয়েছেন। গত ১০ মে লকডাউন শিথিল করার পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৯১জন। অথচ গত মার্চ থেকে ৯মে পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ছিল ১৪৯। ঈদের ছুটিতে গত কয়েকদিন ধরে যেহারে মানুষ দক্ষিণাঞ্চলের ঘরে ঘরে ফিরেছে, তাতে সামাজিক সংক্রমন সৃষ্টি হয়ে আগামী দু সপ্তাহ পরিস্থিতি আরো কতটা নাজুক আকার ধারন করে তা নিয়ে শংকিত চিকিৎসা বিশেষজ্ঞগন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন