দক্ষিণাঞ্চলে আরো ২৮জনের দেহে করেনা ভাইরাস সংক্রমন সনাক্ত হয়েছে। সোমবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় বরিশালে ১৫, পিরোজপুরে ৭, বরগুনাতে ৫ ও পটুয়াখালীতে ১জনের দেহে করেনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে ‘কোভিড-১৯’ সনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৬৮’তে উন্নীত হল। গত ২৪ ঘন্টায় বরগুনাতে ৪ জন ও পটুয়াখালীতে একজন নুতন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এসময়ে পটুয়াখালী, ঝালকাঠী ও বরগুনাতে একজন করে মোট ৩জন সুস্থ্য হয়ে ঘরে ফিরেছেন বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে। বরিশালে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কয়েকজন পুলিশ কর্মী ছাড়াও হাসপাতাল কর্মীও রয়েছেন।
সোমবার দুপুর পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে মোট আক্রান্তদের মধ্যে বরিশালে ১৫৬,বরগুনাতে ৫৪, পিরোজপুরে ৬০, পটুয়াখালীতে ৪২, ঝালকাঠীতে ৩৪ ও ভোালাতে ২২জন কোভিড-১৯রোগী সনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এর মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ্য হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১২৬জন। মারা গেছেন ৭জন। সোমবার সকাল পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় আইসোলেশনÑঅবজার্ভেশনে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্য ৪৫৯ হলেও ছাড়া পেয়েছেন ২৬৯জন। গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিকৃত ৪জন রোগীর রক্তের নমুনা পরিক্ষায়ই নেগেটিভ ফল এসছে বলে জানা গেছে। এনিয়ে হাসপাতালটিতে ১৭১ জন রোগীর রক্তের নমুনা পরিক্ষায় ১৩৮ জনেরই নেগেটিভ ফল মিলল। করেনা সনাক্ত হয়েছে ৪৪ জনের। যার মধ্যে ২৬জনই সুস্থ্য হয়ে ঘরে ফিরেছেন। তবে পালিয়েছন ১জন। এছাড়া ৫জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান হয়েছে।
বরিশাল মহানগরীর প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই ইতোমধ্যে একাধীক ব্যক্তির শরিরে করেনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। প্রতিদিনই এ নগরীতে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার বিষয়টি ফলোআপেরও তাগিদ দিয়েছেন চিকিৎসা বিষেশজ্ঞগন। নগরীর আক্রান্ত রোগীদের একটি বড় অংশই পুলিশ সদস্য। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০জন পুলিশ সদস্য কোভিড-১৯’এ অক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া পজেটিভ সনাক্ত রোগীদের আইসোলেশনে রাখা সহ তাদের যথাযথ চিকিৎসার বিষয়েও উদাশীনতার অভিযোগ রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন