ঈদের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যকে গুলি করে খুনের ঘটনায় খিরাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার নগরীর পাঁচলাইশ এলাকা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া খিরাম এলাকা থেকে আবুল বশর কোম্পানি নামে আরেকজনকে গ্রেফতারের কথাও জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর সোহরাব নগরীতে পালিয়ে এসে তার এক বন্ধুর বাসায় আত্মগোপন করেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতে এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবুল বশর কোম্পানিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ফটিকছড়ি থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার খিরাম ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারে নিজ বাড়ির সামনে ইউপি সদস্য মো. জব্বারকে (৪২) গুলি করে হত্যা করা হয় । জব্বার খিরাম ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত সদস্য। তিনি ওই ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের ছেলে।
পুুলিশ জানায় চেয়ারম্যানের সাথে বিরোধের জেরে তাকে খুন করা হয়েছে। জানা গেছে, চেয়ারম্যান সোহরাব ও জব্বারের সঙ্গে বিরোধের সূত্রপাত হয় ২০১৯ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মো. শহীদুল্লাহ। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহরাব বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে শহীদুল্লাহকে পরাজিত করেন। জব্বার শহীদুল্লাহর অনুসারী। তারা উভয়েই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
চেয়ারম্যান সোহরাব ও শহীদুল্লাহর অনুসারীদের মধ্যে নির্বাচনের পর থেকে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে একাধিক মামলাও হয়েছে। এ খুনের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগে বিরোধ আরো বেড়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন