শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দেশে আইএস নেই আছে জামায়াতের প্রেতাত্মা : আইনমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, সরকার যাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শেষ করতে না পারে সেজন্য জঙ্গিবাদের নামে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। দেশে ইসলামিক স্টেট (আইএস) বলতে কিছু নেই।
আছে জামায়াতে ইসলামীর প্রেতাত্মা, যাদের কাজ দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা। তারাই গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে এরা কেউ কিছু করতে পারবে না। গতকাল শনিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শফিউর রহমান মিলনায়তনে আইনজীবী সহকারীদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যারা জঙ্গিদের সঙ্গে আছে, তাদের সঙ্গে কোনো ঐক্য নয়। যারা জঙ্গিদের নির্মূলে থাকবে, তাদের সঙ্গে ঐক্য হতে হবে। সেটি হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। ১৬ কোটি মানুষের দেশে এক-দেড়শ মানুষ কিছু নয়। আমরা এক থাকলে যারা আমাদের জঙ্গি ছবক দিচ্ছে তারাও বিতাড়িত হবে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে আইন মন্ত্রী বলেন, ঐক্যের একটাই শর্ত-যারা জঙ্গিদের সাথে আছে তাদের সঙ্গে ঐক্য নেই। যারা জঙ্গিদের নির্মূলে আছে তাদের তাদের সাথে ঐক্য হতে হবে। দেশের শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ঐক্যের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ লোক থাকতে পারে। অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী জঙ্গিদের জামিনের পক্ষে ওকালতনামা জমা না দিতে আইনজীবী সহকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী বলেন, জঙ্গিদের বিচার আইনানুযায়ী হবে। কিন্তু সামাজিক প্রতিরোধের অংশ হিসেবে জঙ্গিদের জামিনে বাধা দিতে হবে। কোর্টে জঙ্গিদের জামিন চাওয়া প্রতিরোধ করতে হবে। আইনমন্ত্রী আরো বলেন, ৩০ বছর আগে যারা আপনাদের জন্য আইন করতে চেয়েছিল তারা আজকের অনুষ্ঠানেও আসেননি। আমার গাড়ীর নিচে মাথা দেয়ার দরকার নেই, আমাকে মার্ডার কেসের আসামী করতে হবে না। এই আইন হবেই। আগামী সেপ্টেম্বরে পরবর্তী অধিবেশনে আপনাদের আইন করা হবে। আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী আইনজীবী না হয়েও আপনাদের (আইনজীবীদের ক্লার্কদের) বিষয়ে চিন্তা করেছেন, আপনারা স্বীকৃত। আইন করে আপনাদের স্বীকৃতি দিলে আমাদেরও সম্মান বাড়বে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, দেশকে আজ ধর্মান্ধ ও জঙ্গিদের দ্বারা ক্ষতবিক্ষত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশকে আফগানিস্তান, সিরিয়ার মত ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা উঠে পড়ে লেগেছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা একত্রিত হয়ে দেশে জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বিএনপি নেতার বৈঠকের পর থেকে দেশে জঙ্গি হামলা ও জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, তারা জামায়াতকে ছেড়ে আসলে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্ব মানলে বিবেচনা করব, তাদের ঐক্যে নেয়া যায় কি না। তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে আমরা রাজনীতিকরণ করতে চাই না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এই যুদ্ধ করতে হবে। এই যুদ্ধের নেতা শেখ হাসিনা। তারা জামায়াতকে বাদ দিয়ে আসলে এবং শেখ হাসিনাকে নেতা মানলে বিবেচনা করা হবে তাদের নেয়া যায় কি না। তিনি আরো বলেন, আগে সবার আঙুল ছিল কওমি মাদ্রাসার দিকে। এখন ইংলিশ মিডিয়াম থেকে আসছে তারা। ওরা আমাদের তরুণদের বিভ্রান্ত করছে। তাই আমাদের সবাইকে সবার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। আইনজীবী সহকারী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নুর মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য জেড আই খান পান্না প্রমুখ। এর আগে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন