মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করার পর তাতে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বিষয়টি ভালভাবে নেয়নি চীন। চীনা রাষ্ট্রদূত চেন জিংয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন, অস্ট্রেলিয় পণ্য ব্যবহারে বয়কট শুরু হতে পারে। -সিএনএন, ফিন্যান্সিয়াল রিভিও, সানডে মর্নিং
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যারিসা পায়ানি গত এপ্রিলের শেষ দিকে সানডে মর্নিং টেলিভিশনে চীনে করোনা তদন্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দাবির প্রতি একাত্মতা জানান। সেখান থেকেই চীনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার দূরত্ব বাড়তে থাকে। দিন কয়েক পর অস্ট্রেলিয়া য় চীনের রাষ্ট্রদূত চেন জিংয়ে ফিনান্সিয়াল রিভিউকে বলেন , সম্ভবত চীনা নাগরিকরা নিজেদের মনকে জিজ্ঞেস করবে তারা অস্ট্রেলিয় মদ কিংবা গরুর মাংস খাবে কি না । এরপর একমাসেরও কম সময়ের মধ্যে গত ১২ মে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার কারণ দেখিয়ে চীন চারটি বড় ধরনের অস্ট্রেলিয় গরুর মাংসের খালাস বন্ধ করে দেয়। এর ৫ দিন পর চীন এ্যান্টি - ডাম্পিং তদন্তের অংশ হিসেবে অষ্ট্রেলিয় বার্লি আমদানিতে ৮০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপ করে ।
২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমান ছিল ২১৪ বিলিয়ন ডলার। করোনার কারণে যে কোনো দেশের মত চীনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনৈতিক সম্পর্ক কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু চীনের সরকারি মিডিয়ায় অস্ট্রেলিয় বিরোধী মনোভাব এ সম্পর্কে ফাটলকে স্পষ্ট করে তুলছে ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন