শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গাদাগাদি করে ঢাকায় আসছে মানুষ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০২০, ৪:৩৩ পিএম

ঈদের ছুটি শেষে এবার ঢাকায় ফিরছে মানুষ। একদিকে, কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুট হয়ে করোনার ঝুঁকি নিয়ে ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে কর্মস্থল রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। আবার মাওয়া ফেরিঘাট দিয়েও গাদাগাদি করে ফিরছে মানুষ। মহাসড়কে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের চাপ বেড়েছে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের ভিড় চোখে পড়ার মতো। পেছনে দুজন করে যাত্রী নিয়ে ছুটছে মোটরবাইকাররা।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, বুধবার ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই লঞ্চ ও স্পীডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এই কাঁঠালিয়া-মিশুলিয়া নৌরুটে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। আজ ভোরে ঝড় বৃষ্টির কারণে ১ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এদিকে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটের পন্টুনের র‌্যাম ডুবে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
ঘাটের একাধিক সূত্রে জানা যায়, বেলা বাড়ার সাথে সাথে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলীয়া নৌ-রুট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। বরিশাল, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে বিভিন্ন ছোট যানবাহনে করে যাত্রীরা কাঁঠালবাড়ি ঘাটে আসছে। তবে ঘাট পর্যন্ত আসতে যাত্রীদের গুণতে হচ্ছে দেড় থেকে দ্বিগুন ভাড়া। এই নৌ-রুটে লঞ্চ ও স্পীডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিগুলো যানবাহন পারাপারের পাশাপাশি যাত্রী পারাপারে হিমশিম খাচ্ছে।
কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম মিয়া জানান, এই নৌ-রুটে চলাচলকারী ১৭টি ফেরির মধ্যে ৫টি ডাম্প ফেরি বৈরী আবহাওয়ার কারণে বন্ধ রয়েছে, বাকি ৮ থেকে ১০টি ফেরি চালু রাখা হয়েছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরিগুলো যানবাহন পারাপারের পাশাপাশি যাত্রী পারাপারে হিমশিম খাচ্ছে।
এদিকে, মাওয়া ফেরিঘাটেও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। ঘাট থেকে দূরে নৌকা দিয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে যাত্রীরা পদ্মাসেতুর পাড়ে আসছে। সেখান থেকে তারা ছোট ছোট যানবাহনে করে ঢাকার দিকে আসছে। এ পথে মোটরসাইকেল বাইকাররা দুই-তিনজন করে যাত্রী তুলে ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় আসছে। পুলিশ তাদেরকে কিছুই বলছে না। খুলনা থেকে আসা একজন যাত্রী জানান, গাদাগাদি করে মানুষ ঢাকার দিকে আসছে। ইজিবাইক, রিকশা, ভ্যান যে যেভাবে পারছে সেভাবে আসছে। তিনি বলেন, আমি খুলনা থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত একটি মাইক্রোবাসে এসেছি। সেখান থেকে ঘাট পর্যন্ত এসেছি ইজিবাইক ও ভ্যানে। পদ্মা নদী পার হয়েছি ছোট নৌকা দিয়ে। এরপর পদ্মা সেতুর নীচ থেকে মোটরসাইকেলে ঢাকা এসেছি।
অন্যদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। যানবাহনের মধ্যে বেশিরভাগই মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার। এর সাথে ইজিবাইক, ভ্যান ও রিকশাতো আছেই। এসব যানবাহনে করে গাদাগাদি করে মানুষ ঢাকায় আসছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন