শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসায় আরো হাসপাতাল অধিগ্রহণ করা হবে : তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০২০, ৭:৩১ পিএম | আপডেট : ৭:৪৪ পিএম, ২৭ মে, ২০২০

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে ইম্পেরিয়েল, হলি ক্রিসেন্ট, রেলওয়ে, এবং ইউএসটিসির বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়ালসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রয়োজন হলে আরো হাসপাতাল অধিগ্রহণ করা হবে।
চট্টগ্রামের গুরুত্ব বিবেচনা করে এখানকার মানুষকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য যতটুকু সম্ভব সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুতসময়ে তা করা হবে।
বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত সমন্বয় সভা শেষে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসপাতালের বাইরে চট্টগ্রামে আইসোলেশন ইউনিট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এজন্য নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে সিটি কমিউনিটি হলে তিনশ বেডের একটি আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হবে। এরপরও যদি আরো আইসোলেশন ইউনিটের প্রয়োজন হয় তাহলে চট্টগ্রামের শীততাপনিয়ন্ত্রিত কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশান হলগুলোকে আইসোলেশন ইউনিটে রূপান্তর করা হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম শহরে করোনাভাইরাসের স্যাম্পল কালেকশনের জন্য আরো ১১টি বুথ স্থাপন করা হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম পৌণে এককোটি মানুষের শহর। চট্টগ্রামের আশপাশের জেলা ও উপজেলা মিলে প্রায় আড়াই কোটি মানুষকে চট্টগ্রামে যেসকল মেডিকেল ফ্যাসিলিটিজ আছে সেগুলোতেই স্বাস্থ্যসেবা দিতে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চট্টগ্রামে দু’হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সংক্রমণও দ্রুত বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে করণীয় নির্ধারণে এ সমন্বয় সভা।
তিনি বলেন, সমন্বয় সভায় বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি, প্রশাসনের প্রতিনিধি ও পুলিশের প্রতিনিধিসহ ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। এই কমিটি এসব হাসপাতালগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে চালু করার জন্য কি কি প্রয়োজন সেগুলো নির্ধারণ করবেন। হাসপাতালগুলো আজ থেকেই সরকার অধিগ্রহণ করা শুরু করবে। এছাড়া নগরীর পার্কভিউ হাসপাতাল অলরেডি করোনা ইউনিট চালু করেছে।
তথ্যমন্ত্রী জনগণকে যতদুর সম্ভব ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, অদৃশ্য একটি ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করছি। আমার সুরক্ষা আমার কাছে। এটি যদি অনুধাবন করতে না পারি আরেকজনতো জোর করে সুরক্ষা দেওয়া কঠিন। লকডাউন শিথিল করা মানে এই নয়, অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করবো, অকারণে বের হবো, জনসমাগম করবো।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
বক্তব্য রাখেন ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, ওয়াসিকা আয়েশা খানম এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মাহাবুবর রহমান, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন