শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

স্বামীকে ঘুমের ঔষুধ দিয়ে অজ্ঞান করে শ্বাসরোধে হত্যার পর মাটি চাপা দেয়া হয়

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০২০, ৮:৫২ পিএম

গোপালগঞ্জে স্বামী কমলেশ বাড়ৈকে (৪৫) হত্যা পর লাশ মাটি চাপা দেয়া হয়। গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমিত কুমার বিশ্বাসের আদালতে কমলেশের স্ত্রী সুবর্ণা বাড়ৈ (৩৫) ও তার পরকীয়া প্রেমিক মম্মথ বাড়ৈ (৪০) আজ বুধবার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
সুবর্না কোটালীপাড়া উপজেলার তালপুকুরিয়া গ্রামের কাঠমিন্ত্রী কমলেশ বাড়ৈর স্ত্রী। মম্মথ বাড়ৈ একই গ্রামের মহেন্দ্র বাড়ৈর ছেলে।
তারা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে জানান, তাদের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এটি জানাজানি হওয়ার পর কমলেশ ও সুবর্ণার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই ছিলো। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ বৈঠক করা হয়। কিন্তু তারপরও তারা সে রাস্তা থেকে ফিরে আসেনি। গত জানুয়ারী মাসে সুবর্ণা ও তার প্রেমিক মম্মথ মিলে পথরে কাঁটা কমলেশকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে মোতাবেক গত ২ ফেব্রুয়ারী মম্মথর সরবরাহকৃত ঘুমের ঔষুধ সুবর্না খাবারের মধ্যে মিশিয়ে কমলেশকে খায়িয়ে দেয়। কমলেশ গভীর ঘুমে আচেতন হয়ে পড়লে পরকীয়া প্রেমিক মম্মথ ও সুবর্ণা মিলে কমলেশের গলায় গামছা দিয়ে প্যাঁচ দিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে। পরে তারা বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে মম্মথর মাছের ঘেরপাড়ে মাটি চাপা দিয়ে লাশ পুঁতে রাখে।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, কমলেশ নিখোঁজ হয়েছেন,জানিয়ে তার ভাই রবেণ বাড়ৈ গত ৩ মার্চ কোটালীপাড়া থানায় একটি জিডি করেন। এটির তদন্তে নেমে পুলিশ গত ২৬ মে বিকেলে মম্মথর ঘেরপাড় থেকে মাটি খুঁড়ে কমলেশের লাশ উদ্ধার করে। পরে কমলেশের স্ত্রী সুবর্ণাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। রাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে সুবর্ণার পরকীয়া প্রেমিক মম্মথকে মাদারীপুর জেলার রাজৈর থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বুধবার তাদের গোপালগঞ্জে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। ১৬৪ ধারায় সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়ে তারা এ হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন। এরমধ্য দিয়ে পরকীয়ার কারণে ৩ মাস আগের একটি হত্যা ও লাশগুমের রহস্য উদঘাটিত হলো।
কোটালীপাড়া থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কমলেশের ভাই রবেণ বাড়ৈ বাদী হয়ে সুবর্ণা ও মম্মথকে আসামী করে মঙ্গলবার রাতেই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। কমলেশের লাশ উদ্ধারের ৮ ঘন্টার মধ্যেই দু’ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের আজ বুধবার আদালতে পাঠানো হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন