বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পাকিস্তান-নেপাল সীমান্তেও সেনা বাড়াচ্ছে ভারত : ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০২০, ১২:০৮ পিএম

গত দু’সপ্তাহ ধরে যখন প্রথমে লাদাখ এবং তারপর উত্তরাখণ্ড সীমান্ত ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, তখনই বুধবার চীনের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ঝাও লিজ্জন বলেছেন, আমরা স্পষ্ট করতে চা‌ই যে, সীমান্ত নিয়ে চীনের অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। দুই দেশের মধ্যে যে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে অতীতে এবং দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা যে ঐকমত্যে এসেছিলেন, সেই অবস্থানকে মান্যতা দিয়েই চীন চলবে। চীনের এই ‘নরম গরম’ রণকৌশলকে অবশ্য ভারত মোটেই বিশ্বাস করছে না। কারণ, একইসঙ্গে নেপাল ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ভারত বিরোধী বিবৃতি ও চীনের সেনা মোতায়েন সবটাই যেন একটি বৃহত্তর পরিকল্পনারই অঙ্গ! তাই চীন, পাকিস্তান ও নেপাল, তিন সীমান্তেই ভারতীয় সেনা কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করছে। বাড়ানো হচ্ছে সেনা সংখ্যা।

চীন যতক্ষণ না লাদাখ ও উত্তরাখণ্ডের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে অতিরিক্ত সেনা সরাচ্ছে এবং বাঙ্কার নির্মাণের অতি সক্রিয়তা থেকে পিছু হটছে, ততক্ষণ ভারতও সীমান্ত থেকে অতিরিক্ত সৈন্য সরাবে না। এমন কড়া বার্তা দিতে শুধু চীন সীমান্তেই নয়, নেপাল ও পাকিস্তান সীমান্তেও ভারত অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবিলায় কার্যত এভাবেই চরম প্রস্তুতি নিচ্ছে দিল্লি। এই তীব্র সংঘাতের আবহেই বুধবার রাজধানীতে সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে সব কমান্ডারকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন।

এদিকে, ভারত বনাম চীন, দু‌ই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে ঘনিয়ে ওঠা এই ঠান্ডা লড়াই ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলও নড়েচড়ে বসেছে। বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দুই দেশকেই আমরা জানিয়েছি যে, চীন ও ভারত রাজি থাকলে সীমান্ত বিতর্কের টেনশন কমাতে আমেরিকা মধ্যস্থতা করতে তৈরি আছে। হঠাৎ তৎপর হয়েছে চীনের বন্ধু পাকিস্তানও।

সূত্র : বর্তমান

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
জোহেব শাহরিয়ার ২৮ মে, ২০২০, ১২:১৮ পিএম says : 0
উগ্র হিন্দুত্ববাদী জঙ্গীরাষ্ট্র ভারতের বিরুদ্ধে তিনটি দেশই প্রয়োজনে সামরিক জোট গঠন করে লড়াই করুক। এতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য ভারত বিরোধী রাষ্ট্রগুলোও যোগ দিবে। আর বাংলাদেশের জনগণও ভারতকে আজীবন ঘৃণা করে এসেছে। প্রয়োজনে বাংলাদেশের জনগণ উক্ত রাষ্ট্র সমূহে গিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের উপর ভারতের করা অত্যাচারের প্রতিশোধ নিবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন