শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ট্রাম্পের টুইট বিভ্রান্তিকর, ফ্যাক্ট চেক করল টুইটার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০২০, ২:০০ পিএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটকেও এ বার ‘যথেষ্টই বিভ্রান্তিকর’ বলে মনে করল টুইটার। তাই এই প্রথম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের করা দু’টি টুইট ফ্যাক্ট চেক (তথ্যপরীক্ষা) করে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হল। যার জেরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের করা ওই দু’টি টুইটের নীচে টুইটারের তরফে একটি বার্তা লিখে দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

মঙ্গলবারই প্রথম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দু’টি টুইটের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন টুইটার কর্তৃপক্ষ। ওই দু’টি টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছিলেন, ‘মেইলে পাঠানো ব্যালটে কারচুপির সুযোগ থাকবে।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যে দু’টি টুইটের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন টুইটার কর্তৃপক্ষ, তাদের নীচে লিখে দেয়া হয়েছে, ‘মেইলে পাঠানো ব্যালট সম্পর্কে সঠিক তথ্যাদি জেনে নিন’। যেখানে ক্লিক করলেই পৌঁছনো যাবে একটি ফ্যাক্ট চেক পৃষ্ঠায়। সেখানে আরও কয়েকটি লিঙ্ক দেয়া হয়েছে, যেগুলিতে ক্লিক করলে ট্রাম্পের বক্তব্য খন্ডনকারী খবর ও নিবন্ধগুলি পড়ে নেয়া যাবে। টুইটে জানানো ভুল, বিভ্রান্তিকর বা খতিয়ে না দেখা তথ্যাদি পরিবেশন বন্ধ করতে যে টুইটার বদ্ধপরিকর, সে কথাও জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

তবে টুইটারের তরফে জানানো হয়েছে, মেইলে পাঠানো ব্যালট সম্পর্কে টুইটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন, তা সংস্থার (টুইটার) নিয়মবিধি লঙ্ঘন করেনি। কারণ, মেইলে ব্যালট পাঠানোর ব্যাপারে ওই দু’টি টুইটে মানুষকে নিরাশ করা হয়নি। তবে টুইট দু’টির নীচে সংস্থার তরফে যেটা লেখা হয়েছে, তা এ সম্পর্কে আর যে সব তথ্য রয়েছে, সেগুলিও যাতে সকলে জানতে পারেন, তার জন্য।

টুইটারের মুখপাত্র কেটি রসবরো বলেছেন, ‘এই টুইটগুলিতে ভোট পদ্ধতি সম্পর্কে যথেষ্ট বিভ্রান্তিকর তথ্যাদি রয়েছে। তাই সেগুলির সঙ্গে এ ব্যাপারে যে ভিন্ন মতামতগুলি রয়েছে, সেগুলিকেও জুড়ে দেয়া হয়েছে। আমরা যে এ বার এটা করব, এ মাসের গোড়ার দিকেই তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।’

টুইটার কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ‘প্রয়োজনে’ই এটা করা হয়েছে। টুইটারের এই পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে অবশ্য কিছু প্রশ্নও উঠেছে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, এর পর কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সব টুইটের নীচেই টুইটারের তরফে এমন ধরনের বার্তা দেয়া হবে? বিশেষ করে, ট্রাম্পের যে টুইটগুলি নিয়ে তৃতীয় পক্ষের আপত্তি বা অসন্তোষ থাকবে? এর আগে মার্কিন কংগ্রেসের এক সদস্য জো স্ক্যারবরোর বিরুদ্ধেও তার টুইটে নানা ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। টুইটারের তরফে অবশ্য এ ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি।

এদিকে, এ ঘটনার পর থেকেই টুইটারের ওপর ক্ষেপে আছেন ট্রাম্প। এরমধ্যে শোনা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশে সই করতে যাচ্ছেন তিনি। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় বিবিসি।

ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ করার হুমকি দেয়ার পর নির্বাহী আদেশ সইয়ের বিষয়টি সামনে এসেছে। নির্বাহী আদেশের বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এমনকি কংগ্রেসে নতুন আইন পাস করানো ছাড়া প্রেসিডেন্ট এ আদেশের মাধ্যমে কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবেন তাও স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা কোনো ধরনের তথ্য দিতে রাজি হননি। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন