বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

এবার দুঃসংবাদ ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক স্কিম বিনিয়োগে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০২০, ৩:১৮ পিএম

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। এতে করে ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীদের জন্য সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কঠিন হয়ে গেছে। এর মধ্যে এবার ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক স্কিমে বিনিয়োগের লাগাম টানল সরকার। এ খাতের একক নামে বিনিয়োগ ঊর্ধ্বসীমা ৩০ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে ১০ লাখ টাকা করা হয়েছে। আর যুগ্ম-নামে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা ৬০ লাখ টাকা কমিয়ে করা হয়েছে ২০ লাখ টাকা।

গত ২০ মে স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন বৃহস্পতিবার (২৮ মে) জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ আদেশ জারির দিন থেকে কার্যকর হবে।

হঠাৎ করে বিনিয়োগ ঊর্ধ্বসীমা তিন ভাগের দুই ভাগই কমিয়ে দেয়া হলো কেন-এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে জরুরি মিটিংয়ে আছি বলে কোনো মন্তব্য করতে চাননি অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‌ব্যাংক আমানতে সুদহার যখন ৬ শতাংশ তখন ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের কিংবা সঞ্চয়পত্রে সুদহার সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার খাত হিসেবে বিবেচিত এ খাতে অনেক ধনী ব্যক্তিরা বিনিয়োগ করছে। পাশাপশি এ খাত থেকে ঋণ নিলে সরকারকে বেশি পরিমাণ সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে করে সরকারের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এদিকে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে কালো টাকা এবং অতিরিক্ত বিনিয়োগ বন্ধে অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ‘জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’-এর এ নতুন মডিউলটি গত ১১ মার্চ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উদ্বোধন করেন।

জানা গেছে, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমটি অনলাইন তথা অটোমেশন হয়ে গেলে এতে বিনিয়োগ করার সময় একটি হিসাব (অ্যাকাউন্ট) খুলতে হবে। আর হিসাব খোলার জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র। দুই লাখ টাকার বেশি ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে জমা দিতে হবে চেকের মাধ্যমে। সঙ্গে ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) সনদের কপিও দিতে হবে। যাদের হিসাব রয়েছে তাদেরকেও অনলাইন ডাটাবেজের আওতায় আনা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Mohammed Jahangir Alam ২৮ মে, ২০২০, ৩:৩৭ পিএম says : 0
ধনিক শ্রেনীর লোকদের লোভের কারনে। মধ্যবিত্তরা পড়ল বিপদে। তবে কি সরকারের আর কোন পথ খোলা নাই!
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ২৮ মে, ২০২০, ১০:০৯ পিএম says : 0
বিজ্ঞজনেরা বলছেন সরকারের এই সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই খবরে বিস্তারী ভাবে ব্যাখা দেয়া হয়নি এটা আমার মনে হয়েছে। আমার মনে যেসব প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে তারউপর কিছু কথা এখানে আনছি। প্রচুর প্রবাসীরা ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক স্কিমে বিনিয়োগ করে থাকেন। এখন সরকারের এই পদক্ষেপে তাদের জন্যে একটা অশনি সংকেত বলে মনে হচ্ছে। এই সংবাদে অবশ্য সকলের কথাই বলা হয়েছে বুঝাযাচ্ছে, এখানে প্রবাসীদের উদ্দেশ্য করে কিছু বলা নেই। আবার অনেক বাংলাদেশী দ্বৈত নাগরিক হয়ে এই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে থাকেন তাদের সম্পর্কেও কিছু এখানে আসেনি। তাছাড়া বিদেশীরা যদি এই পদ্ধতীতে বিনিয়োগ করার সুযোগ পায় সেটা কিরকম সে সম্পর্কেও কোন কথা এখানে আসেনি। বিজ্ঞজনেরা বলছেন, এই পদ্ধতীতে সরকার প্রচুর অর্থ লোকশান দিয়ে আসছে। সরকার তাদের এই প্রকল্প থেকে রেহাই পাবার জন্যে চেষ্টা করে আসছিল এটাই নিন্দুকদের ধারনা। কিন্তু জনগণের কল্যাণের কারনেই সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েও এই প্রকল্প বন্ধ করতে পারেনি। এবার এই করোনা পরিস্থিতির সুযোগে সরকার তাঁর অনেক দিনের লোকসান কমানোর ইচ্ছা পুরন করেছে বলে নিন্দুকেরা অভিমত পোষন করছে। আবার সরকার এই করোনা পরিস্থিতিতে যেভাবে জনগণের কল্যাণে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অকাতরে সাহায্য ও সহযোগিতা করে যাচ্ছে এরপর এধরনের খরচ কমানোই স্বাভাবিক বলে জ্ঞানীজনেরা মনে করেন। ধনীজনেরা অবশ্যই সরকারের এই পদক্ষেপে অসন্তোষ প্রকাশ করছে কিন্তু সেটা গ্রহণযোগ্য নয় এটাই বিজ্ঞজনদের অভিমত। আল্লাহ্‌ আমাদের দেশের সরকারকে সততার সাথে জনগণের পাশে দাড়াবার ক্ষমতা প্রদান করুন। আমিন
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন