ছাগলনাইয়া উপজেলার পশ্চিম দেবপুর গ্রামে স্ত্রীকে উত্যাক্তের প্রতিবাদ করায় খুরশিদ আলম মজুমদার (৩৮)নামের এক অধ্যক্ষকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে বখাটে সন্ত্রাসীরা।সে বক্তারহাট দারুল ইরফান আইডিয়াল একাডেমীর অধ্যক্ষ। স্হানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।ঘটনাটি ঘটছে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার পশ্চিম দেবপুর গ্রামের হাজী বাড়ীতে। এব্যাপারে খুরশিদ আলম মজুমদার বাদী হয়ে বখাটে মোঃ সানিলকে (১৯) প্রধান করে নাছিমা বেগম (৪৮),ছালেহ আহাম্মদ মিয়া(৫৫),পান্না আক্তার(২৪),পেন্সি আক্তার(২২) ও জেসি আক্তারের (২০) নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে ছাগলনাইয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার আসামী নাছিমা বেগমকে দুপুরেই তার নিজ বাড়ী থেকে আটক করেছে। মামলার বিবরন ও এলাকাবাসী জানায়, খুরশিদ আলম মজুমদারের স্ত্রী মোহছেনা আক্তারকে(২৬) দীর্ঘদিন যাবত একই বাড়ীর ছালেহ আহাম্মদ মিয়ার বখাটে পুত্র মোঃ সানিল উত্যাক্ত করে আসছিল।ঘটনারদিন দুপুরে মোহছেনা আক্তার বসতঘরের পাশে পুকুরে গেলে সানিল তাকে নানাভাবে উত্যাক্ত করে।এঘটনার প্রতিবাদ করায় বখাটে সানিল ও অপর আসাীরা খুরশিদ ও তার স্ত্রী মোহছেনাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।এসময় খুরশিদের মাথা ফেটে যায় এবং ডান হাতের বৃদ্ধাঙুল ভেঙে যায়। ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, খুরশিদের মাথায় ২টি সেলাই দেয়া হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ছাগলনাইয়া থানার এসআই হান্নান মিয়া জানান, ঘটনার সাথে জড়িত মামলার একজন আসামীকে আটক করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন