ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, ভুক্তভোগীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও জেলে পাঠানোর অভিযোগ করেছেন তারা। ওই পরিবারগুলো এখন হামলা ও পুলিশী ভয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত আট মাস আগে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সেঁজামুড়ার ইউপি সদস্য বাছিরের ভাতিজা রাশেদ একই এলাকার মিন্টুর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেয়। প্রায় তিন মাস আগে ধার নেয়া টাকা রাশেদের কাছে ফেরত চান মিন্টু। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা হয়। এসময় মিণ্টুর ভাই মুদি দোকান ব্যবসায়ী নুরু মিয়া (৩৫) এর হস্তক্ষেপে ঝগড়া থামে। কিছুক্ষপরেই স্থানীয় ইউপি সদস্য বাছির ও তার ভাতিজা রাশেদের নেতৃত্বে লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে মিন্টুর বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়িঘর ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরে স্থানীয়ভাবে শালিসী করে আপোষ-মিমাংসা করা হয়। আপোষ মিমাংসার পরে মিন্টুর বাড়ির লোকজনকে রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করে চলছিল ইউপি সদস্য বাছির ও তার বাড়ির লোকজন। এরই জের ধরে ঈদের দুইদিন আগে ইউপি সদস্য বাছির দেশি অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মিন্টুর বাড়িতে হামলা করতে জমায়েত হয়। খবর পেয়ে বিজয়নগর থানা পুলিশ বাছির মেম্বারের বাড়ি থেকে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। এর একদিন পর পুলিশ মিন্টুর ভাই নুরুকে আটক করে নিয়ে যায়। নুরু মিয়া জেলে থাকা অবস্থায় ঈদুল ফিতরের মধ্যরাতে তার দোকানে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। প্রায় ১ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। এর মধ্যে দোকানের সময়স্ত মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের দাবি, ঈদের আগে সিলিন্ডার গ্যাস ও বিভিন্ন জিনিসপত্র তোলা হয়েছিল বিক্রির জন্য। আগুন লাগানোর আগে সিলিন্ডারগুলো লুট করে নিয়ে পরে দোকানে আগুন দেয়া হয়। এতে প্রায় ৪ লাখ টাকা মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মিন্টু ও নুরুর মা দাবি করে বলেন, দোকানে অগ্নিসংযোগ করেছে বাছির মেম্বারের বাড়ির লোকজন। আমরা আতংকে আছি। ঘর থেকে বের হলেই তাদের হামলার শঙ্কায় থাকি। স্থানীয় চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়ির আহম্মদ নামের এক দারোগা টাকা খেয়ে আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে মামলায় ঢুকিয়ে দিয়েছে। সেই দারোগাকে কারণ জিজ্ঞেস করলে, তিনি আমাকে মারতে তেরে আসেন।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান জানান, দেশিয়অস্ত্রসহ পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে। তদন্ত করেই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন