দীর্ঘদিন পর সরকারি অফিস খোলা হচ্ছে। তাই করোনার সাধারণ ছুটি এবং পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে ধীরে ধীরে কর্মস্থল রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন নগরবাসী। কয়েক দফা বৃদ্ধি করা সাধারণ ছুটি এ মাসেই শেষ হওয়ায় এবং ঈদের আমেজ কেটে যাওয়ায় অনেকেই রাজধানীতে ফিরেছেন। গতকাল রাস্তায় গণপরিবহন না থাকার ফলে প্রাইভেটকার, রিকশা-ভ্যান বা ট্রাকে করেই ফিরতে দেখা গেছে নগরবাসীকে। তবে গত বুধবারের তুলনায় গতকাল ঢাকার সড়কে যানবাহনের সংখ্যা একটু বেশি দেখা গেছে।
এদিকে ঢাকার ব্যস্ততম এলাকা গুলিস্তান, বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের খাবারের দোকানগুলো এখনও বন্ধ দেখা গেছে। বন্ধ রয়েছে লঞ্চ ও রেল চলাচলও। তবে ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু হলে কর্মজীবী মানুষের রাজধানীতে ফেরার তাগিদ আরও বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের কারণে টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে শর্তসাপেক্ষে বিমান ও গণপরিবহন চালুর অনুমতি দিয়েছে সরকার। ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত চলাচল সীমিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে এতে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞাকালে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীমুখী যানবাহন কম থাকায় এখনও মহাসড়কে যানজট ও ফেরি পারাপারে তেমন কোনো ভোগান্তি শুরু হয়নি। যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায় সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলে করে মানুষ আসতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। মাইক্রোবাস এমনকি ব্যাটারিচালিত যানবাহনে ঢাকায় আসছে মানুষ। ঢাকামুখি কর্মজীবীরা বলছেন, আগামী রোববার কর্মস্থলে যোগদানের জন্যই করোনা ঝুঁকির মধ্যেই ফিরে আসছেন। সড়কপথে কোনো যানজট ছাড়াই রাজধানীতে ফিরতে পেরে খুশি অনেকে। ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতেই তাড়াতাড়ি রাজধানীতে ফিরছেন বলেও জানান অনেকে। তাদের বক্তব্য, গণপরিবহন না থাকায় পরিবহন খরচ অনেক বেশি লেগেছে। কিন্তু যানজটে পড়তে হয়নি এবং ঝামেলা তেমন হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন