বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাজধানীর হোটেলের ৬০ হাজার কর্মচারী বিপর্যস্ত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২০, ১২:৪৮ এএম

শনির আখড়ায় চায়ের দোকান করেন জহির। তিন মাস দোকান বন্ধ। করোনায় ঘরে বসে সব পুঁজি খেয়ে ফেলেছেন। এখন নতুন করে দোকান খুলবেন সে টাকা নেই। গেন্ডারিয়ার একটি হোটেলে কর্মচারী হিসেবে গেল চার বছর ধরে কাজ করেন ইসমাইল মোল্লা। দুই মাসের বেশি সময় ধরে হোটেল বন্ধ, সেসঙ্গে বন্ধ তার আয়ও। তবে সরকারের সাধারণ ছুটি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তে আবারও আশায় বুক বাঁধছেন। কিন্তু গত দুই মাসের বাকির খাতায় থাকা বাসা ভাড়া, পাড়ার মুদির দোকানের খরচ সবমিলিয়ে দিশেহারা অবস্থা তার।

জরির আর ইসমাইল মোল্লার মতোই অবস্থা রাজধানীর ৬০ হাজার হোটেল কর্মচারী ও ২০ হাজার ক্ষদ্র চা দোকানদার। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় গত ২৬ মার্চ থেকে চলমান সাধারণ ছুটিতে বন্ধ ছিল অধিকাংশ হোটেল- রেস্তোরাঁ। যার ফলে বেকার হয়ে পড়েছেন অনেকেই। আগামী ৩১ মে থেকে পুনরায় সব খুলে দেওয়ার পরও চাকরি ফিরে না পাওয়ার ভয়েও আছেন অনেকে।

সেগুনবাগিচার একটি রেস্তোরাঁর কর্মচারী মো. হাসিব বলেন, মালিকের সঙ্গে গত দুই মাস কোনো কথা হয়নি। প্রথম দুই-একদিন ফোন ধরলেও, এরপর ফোন ধরে না। সব খুলে দেওয়ার পর চাকরি থাকবে কি-না সেটাও নিশ্চিত না। চাকরি না থাকলে বউ-বাচ্চা নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে। দোলাইপাড়ের হোটেল বয় আনোয়ার হোসেন বলেন, ঈদের আগে মালিকের বাসায় গিয়েছি, টাকা দেয়নি। বাধ্য হয়ে করোনার মধ্যেই দোকানের সামনে মানবন্ধন করেছি। কাজ হয়নি।

হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকদের দাবি, রাজধানীর ৯৫ শতাংশ হোটেল বন্ধ। ইফতারের সময় কিছু হোটেল খুললেও, করোনার ভয়ে সেখানে ক্রেতা ছিল সাধারণ সময়ের দশ শতাংশ। ফলে তারাও বিপাকে পড়েছেন।
জানতে চাইলে গেন্ডারিয়ার কাঠেরপুলের জনপ্রিয় এক রেস্তোরাঁর মালিক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, এ কথা অস্বীকার করবো না, গেন্ডারিয়া এলাকার মধ্যে আমাদের বেচাবিক্রি ভালো। কিন্তু দুই মাস সব বন্ধ। আর হোটেল বন্ধ থাকলেই সব বন্ধ। কারণ এখানে জমানো টাকা সেভাবে থাকে না। তারপরও আমরা কোনো কর্মচারীর চাকরি খাইনি।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর হোটেল শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আল আমিন বলেন, দুই মাস ধরে সব হোটেল বন্ধ। সুতরাং আমাদের আয়ও বন্ধ। আমাদের ৬০ হাজার কর্মচারী এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের জন্য কোনো প্রণোদনা নেই। যদিও একটি প্রণোদনার কথা শুনেছিলাম। কিন্তু আমরা হাতে কিছুই পাইনি। তিনি আরো বলেন, এ দুই মাসে মালিকেরা কোনো খবরও নেননি। হিসেবে রাজধানীতে তিন হাজার হোটেল আছে। মালিক সমিতি সরকারের কাছে প্রণোদনার জন্য একটি তালিকা পাঠানোর কাজ করেছিল।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
নুরুজ্ঝামান আহমেদ আলম ১০ আগস্ট, ২০২০, ১১:৫৭ পিএম says : 0
আমাদেরো একই অবস্থা একটানা তিনমাস স্টাফ সাভিস এবং হোটেল স্টাফ লালমনির হাট তিমাস দরে বন্দ ছিলো মালিকদের কি বলবো উনারাও অসহায় হয়ে পরেছে এদিকে সরকার সবার জন্যই সকল প্রকার সুবিধা দিয়েছেন কিন্তু হাজার হাজার চায়ের দোকান আছে যারা দিন আনে দিন খায় তাদের কি উপায় শুনেছি ডিছি অফিসে গেলে নাকি কিছু দিবে এদিকে আবার সেনাবাহিনি রাস্তায় গুরছে আর বলছে গরে থাকুন সুস্থ থাকুন তাহলে আমরা যাবো কোথায় সেনাবাহিনির কথা না সুনরে লাঠি দেখায় আমাদের পেটে কিন্তু খাবার নাই সরকারি চাকরি যারা করে তারা কি বুজবে তারাতো বসে বসে বেতন পাচ্চে
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন