বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়- মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২০, ৪:২৪ পিএম

জাতির ক্রান্তিকালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব অবিস্মরণীয় ছিল বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তিনি (জিয়াউর রহমান) সকল সংকটে দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন।স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রারম্ভে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সিদ্ধান্তহীনতায় দেশের মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক সেই মুহূর্তে ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা সারা জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উজ্জীবিত করেছে। এই ঘোষণায় দেশের তরুণ, যুবকসহ নানা স্তরের মানুষ মরণপণ যুদ্ধে সামিল হয়। শহীদ জিয়ার প্রবর্তিত কালজ্বয়ী দর্শণ ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ ও তাঁর অবিনাশী আদর্শ এদেশের মানুষকে উদ্দীপ্ত করে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রকে সুরক্ষার এবং উৎপাদন ও অগ্রগতি তরান্বিত করার। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণীতে মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর দুর্বিনীত দুঃশাসনে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা ও কাক্সিক্ষত গণতন্ত্র মাটিচাপা পড়ে। মানুষের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা হরণ করা হয়, দেশ একদলীয় সামন্ততান্ত্রিক শাসনের নিষ্ঠুর কবলে পড়ে পিষ্ট হতে থাকে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করে মানুষের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়। সেই সময় দেশের সর্বত্র বিভৎস অরাজকতা নেমে আসে। গণতন্ত্র হত্যা ও অরাজকতার অমানিশার দুর্যোগের মুখে দেশের সিপাহী-জনতার মিলিত শক্তির মিছিলে জিয়াউর রহমান জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হন। ফিরিয়ে দেন বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্র ও নাগরিক স্বাধীনতা। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করেন। উৎপাদনের রাজনীতির মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করেন। বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির আখ্যা থেকে খাদ্য রপ্তানীকারক দেশে পরিণত করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই মহান জাতীয়তাবাদী নেতার জনপ্রিয়তা দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারিরা কখনোই মেনে নিতে পারেনি। চক্রান্তকারীরা ১৯৮১ সালের ৩০ মে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। তবে তারা যতই চেষ্টা করুক তিনি বিস্মৃত হন না বরং নিজ দেশের জনগণের হৃদয়ে চিরজাগরুক হয়ে অবস্থান করেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশে একদলীয় সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। কর্তৃত্ববাদী শাসনের নির্মমতা চারিদিকে বিদ্যমান। বিরোধী দলের অধিকার, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সবচেয়ে বড় শত্রæ মনে করে বর্তমান সরকার। সেজন্য গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। এখন তাঁকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তাঁর মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

করোনা থেকে পানাহ চেয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ^ব্যাপী চলছে অজ্ঞাত দানব করোনা মহামারির তাÐব। ইতোমধ্যে তিন লক্ষাধিক মানুষ এই রোগে মৃত্যুবরণ করেছে, আর আক্রান্ত হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। এখন গভীর আতঙ্ক ও উৎকন্ঠার মধ্যে রচিত হচ্ছে দিনযাপনের মানবিক কাহিনী। আমাদের সকলকে এ সম্পর্কে সচেতন থেকে করোনার হাত থেকে বাঁচতে আজ শহীদ জিয়ার শাহাদাতবার্ষিকীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট পানাহ চাই।

রণাঙ্গনের অনন্য মুক্তিযোদ্ধা, নির্ভীক, নির্মোহ রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী শক্তির ক্রমাগত বিদ্বেষপূর্ণ আক্রমনের পটভূমিতে তাঁর অ¤øান স্মৃতিকে বুকে ধারণ করে এবার ৩০ মে মহান নেতার শাহাদাতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য দল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহসহ সকল স্তরের জনগণের প্রতি মির্জা ফখরুল উদ্বাত্ত আহবান জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ২৯ মে, ২০২০, ৮:৫৭ পিএম says : 0
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁর দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়া মিয়াকে নিয়ে নানা কথা বলেছেন এটাই স্বাভাবিক। আমি ওনার সাথে দ্বিমত পোষন করলেও এসব নিয়ে এখানে তর্কে যেতে চাইনা কারন মিথ্যা বলাই বিএনপি দলের বৈশিষ্ট। তবে মহাসচিব ফখরুল ইসলাম একজন রাজনৈতিক নেতা হিসাবেই এখানে বক্তব্য রেখেছেন। আমাদের বিগ-মাউথ সাহেব যেভাবে রাজনীতিতে অখাদ্য কুখাদ্য ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাঁর চেয়ে অনেক ভাল বক্তব্য (মিথ্যা হলেও) মহাসচিব ফখরুল ইসলামের কাছ থেকে পাওয়াযায়। আমি জানি মহাসচিব একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ যদিও তিনি রাজাকার পরিবারের সদস্য হিসাবে পরিচিত তারপরও তাঁর মধ্যে রাজনৈতিক ভদ্রতা ও শালীনতা রয়েছে। বিএনপি দলের স্থায়ী কমিটির অনেক সদস্য রাজনীতিতে দক্ষতা রাখেন কিন্তু এনারা সবাই রাজতন্ত্রের জালে এমনিভাবে আবদ্ধ হয়েছেন যে নড়াচড়া করার ক্ষমতা এনাদের নেই। সেজন্যেই আজকাল বিএনপি দল থেকে তেমন কোন জোড়াল রাজনৈতিক বক্তব্য পাওয়া যায়না। আল্লাহ্‌ আমাদের দেশের বড় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে শক্তিশালী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দল হিসাবে দাড়া করিয়ে দিন। আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন