শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

চীন থেকে আলাদা হলে হংকংয়ের ক্ষতি বেশি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২০, ১২:০১ এএম

হংকংয়ের স্বায়ত্বশাসনের অনন্য ধরণ ছিল চীনের জন্য এক বিশেষ উপহার। এই শহরটি বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটির জন্য একটি চ্যানেল হয়ে উঠেছে। যাতে বেইজিং হংকংয়ের উপরে তার অর্থনীতি এবং মানুষের উপর নিয়ন্ত্রণ ত্যাগ না করেও মাঝারিভাবে আরও সমৃদ্ধ হতে পারে। তবে মূল ভ‚খণ্ডের ভবিষ্যতের সমৃদ্ধির জন্য এখন আর এটি প্রয়োজনীয় নয়। চীন প্রজাতন্ত্রের থেকে আলাদা হলে, যেমনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাব করেছে, তা হংকংয়ের জন্যই বেশি ক্ষতিকর হবে। ১৯৯৭ সালে ব্রিটেন এই অঞ্চলটি হস্তান্তর করার পরে হংকংকে চীন থেকে পৃথক হিসাবে বিবেচনা করার প্রায় সর্বজনীন চুক্তি চারটি প্রধান কার্য সম্পাদন করেছে। বাকি সবই কম প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। প্রথমটি হচ্ছে, পণ্য বাণিজ্য। চীনের বন্দরগুলি এখন পর্যাপ্ত পরিমাণে বড় এবং ২০১৮ সালে মোট রফতানির মাত্র ১০ শতাংশ হংকংয়ের মাধ্যমে হয়েছে। বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকটের আগে এর ভাগ দ্বিগুণেরও বেশি ছিল। তবে চীনের জন্য এশীয় আর্থিক কেন্দ্রের ভ‚মিকা হিসাবে হংকংয়ের গুরুত্ব রয়েছে। এটি এখনও গুরুত্বপূর্ণ, তবে চীন আজকাল এই জাতীয় প্রবাহের উপর কম নির্ভর করে। ২০০০ সালে বৈদেশিক বিনিয়োগ, স্থায়ী-সম্পদ বিনিয়োগের প্রায় ১৫ শতাংশের সমতুল্য ছিল। গত বছর এটি ছিল প্রায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ। হংকংয়ের বিশেষ স্থিতি চীনের মুদ্রাকে আন্তর্জাতিকীকরণের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছিল। তবে প্রকল্পটি ব্যর্থ হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের তথ্যের ভিত্তিতে নেটওয়ার্ক অপারেটর সুইফট এবং বৈশ্বিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভগুলি থেকে বিশ্বব্যাপী অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে চীনা মৃদ্রার ব্যবহার ২ শতাংশেরও কম। সংস্থাগুলি হংকংকে মূলধন বাড়ানোর জায়গা হিসাবে ব্যবহার করেছে, তবে এখন এটি স্থানীয়ভাবেও উপলব্ধ। ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’র অধীনে সাবেক বৃটিশ ঔপনিবেশ হংকং উচ্চ মাত্রায় স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে। অর্ধ শতাব্দীরও আগে এই ভ‚খন্ড ঔপনিবেশিক শাসন থেকে বেরিয়ে আসে। সেখানে যদি চীনের গৃহীত পদক্ষেপের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র অবরোধ দেয় তাতে শুধু হংকংয়ের ক্ষতি হবে এমন নয়। ক্ষতি হবে যুক্তরাষ্ট্রেরও। রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Mahbubul Alam ৩০ মে, ২০২০, ১:০৬ এএম says : 0
আমেরিকা যতটা হংকং এর জন্যে মায়া কান্না করে,কাশ্মীরিদের জন্যে তার ছিটেফোঁটাও না!
Total Reply(0)
Hadi Mir ৩০ মে, ২০২০, ১:০৬ এএম says : 0
চিনা হটাও হংকং স্বাধীন হক
Total Reply(0)
Lid Scienceclub ৩০ মে, ২০২০, ১:০৬ এএম says : 0
সবাই থামেন । কোন লাভ নাই চিৎকার করে । আজকে যেটা যুক্তির শিখরে কাল সেটাকে ফালতু বলে নেক্সট জেনারেশন । তারপরও সবাই ব্যস্ত নিজ নিজ ত্বত্ত প্রতিষ্ঠায় । এটা বিয়ের মতই জটিল , সাপোর্ট করলেও মরছেন আবার নাকরলেও মরছেন
Total Reply(0)
Bijoy Sharma Shanto ৩০ মে, ২০২০, ১:০৭ এএম says : 0
স্বাধীনতা চাও,শুধু স্বাধীনতা
Total Reply(0)
Timir Kiron ৩০ মে, ২০২০, ১:০৭ এএম says : 0
হংকং স্বাধীন হোক
Total Reply(0)
Maynal Hossain ৩০ মে, ২০২০, ১:০৭ এএম says : 0
হংকং শাসন করল বৃট্রিসরা ১০৬ বছর ২০০১ সাল থেকে শুরু করে চীনারা শাসন । পরাধীন যেন এক অশান্তি৷।
Total Reply(0)
Shahab Uddin ৩০ মে, ২০২০, ১:০৭ এএম says : 0
ট্রাম্পের উস্কানি পেয়ে হংকং একটু বেশিই লাফাচ্ছে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন